মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিল বিজেপি। জল্পনা সত্যি করে শেষমেশ দলের যুবনেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরীওয়ালকেই মমতার বিরুদ্ধে দাঁড় করাল গেরুয়া শিবির।
মমতার বিরুদ্ধে কাকে প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে দলের অন্দরেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। বেশ কিছু নামজাদা ব্যক্তির নামও উঠে এসেছিল। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী, প্রাক্তন পুলিশকর্তা ভারতী ঘোষ এবং দলের তাত্ত্বিক নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। উঠে এসেছিল লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য বিজেপি-র সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ এবং প্রিয়ঙ্কা টিরবীওয়ালের নামও।
প্রিয়ঙ্কা টিরবীওয়াল। ফাইল চিত্র।
একাধিক নাম ভেসে উঠলেও কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে, তা নিয়ে ঘোর সংশয় ছিল। যদিও রাজ্য বিজেপি-র বহু নেতাই মমতার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চাননি বলেই সূত্রের খবর। আবার দলের একাংশ চাইছিলেন না নবাগত কাউকে প্রার্থী করা হোক। রুদ্রনীল ঘোষ দলের কাছে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বলে সূত্রের খবর। কিন্তু রাজ্য বিজেপি-র একাংশ নাকি চাইছিলেন না। তাঁদের যুক্তি, এর আগে নবাগতদের বিধাসভা নির্বাচনে প্রার্থী করে ভাল ফল পায়নি দল। ফলে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করাটা ঠিক হবে না। তাও আবার যেখানে মমতার মতো হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন।
কাকে প্রার্থী করা হবে, এই বিষয় নিয়ে যখন দলের অন্দরে তোলপাড় চলছে, তখনই সামনের সারিতে চলে আসে প্রিয়ঙ্কার নাম। ঘটনাচক্রে, প্রিয়ঙ্কা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ। সূত্রের খবর, তিনিই চাইছিলেন মমতার বিরুদ্ধে প্রিয়ঙ্কাই সঠিক প্রার্থী হবেন। আর সেই মতোই দিল্লির কাছে প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছিল। শেষমেশ সেই প্রস্তাবেই সিলমোহর দিয়েছেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন হবে ভাবনীপুরে। একই সঙ্গে ওই দিনই মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর কেন্দ্রেও ভোট। সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক এবং জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। যার ফলে ওই দুই কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। সামশেরগঞ্জে বিজেপি-র প্রার্থী করা হল মিলন ঘোষকে। জঙ্গিপুরে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী সুজিত দাস।