(বাঁ দিকে) সিভি আনন্দ বোস। নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম বার রাতে কলকাতায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর আগে ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি তিনি পশ্চিমবঙ্গে রাত্রিবাস করেছিলেন। তবে সে বার রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর মিলেনিয়াম পার্কে অনুষ্ঠান সেরে তিনি গিয়েছিলেন বেলুড় মঠে। সেখানকার অতিথি আবাসে রাত্রিযাপন করেছিলেন মোদী। আর এ বার জোড়া সভা করতে এসে আগামী ১ মার্চ কলকাতায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের আতিথেয়তা গ্রহণ করবেন তিনি। তবে এই সময়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নেতারা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ বা বৈঠক করবেন কি না, তা জানা যায়নি। শুক্রবার ঝাড়খণ্ড থেকে আকাশপথে হুগলি জেলার আরামবাগে যাবেন তিনি এমনটাই জানানো হয়েছে। ওই দিন সকালে দিল্লি থেকে রওনা হয়ে প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার যাবে দুর্গাপুর বিমানবন্দরে। সেখান থেকে মোদী যাবেন ঝাড়খণ্ডের সিন্দ্রি হেলিপ্যাডে। ঝাড়খণ্ডের কর্মসূচি শেষ করে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় আসবে ধানবাদ হেলিপ্যাডে। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে তিনি যাবেন আরামবাগে।
প্রথমে আরামবাগে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি। সেখানে বেশকিছু প্রকল্পের শিলান্যাস ও পরিষেবা প্রদান করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে আধ ঘণ্টা সময়। তারপর সড়ক পথে তিনি যাবেন আরামবাগের কালীপুর মাঠে। বিজেপি আয়োজিত সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির থাকবেন মোদী। সভার শেষে হেলিপ্যাড থেকে প্রধানমন্ত্রী আসবেন কলকাতার আরসিটিসি হেলিপ্যাডে। সেখান থেকে সড়কপথে প্রধানমন্ত্রীকে রাজভবনে আসবেন। ওইদিন রাজভবনেই রাতে থাকবেন তিনি।
পরদিন তাঁর জোড়া কর্মসূচি রয়েছে কৃষ্ণনগরে। শনিবার সকালে রাজভবন থেকে আরসিটিসি হেলিপ্যাডে যাবেন মোদী। সেখান থেকেই তিনি হেলিকপ্টারে যাবেন কৃষ্ণনগর। সেখানও আধ ঘণ্টার সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মোদী। প্রকল্পের শিলান্যাসের পাশাপাশি সরকারি পরিষেবাও বিতরণ করবেন। সেখান থেকেই সড়ক পথে যাবেন কৃষ্ণনগরে আয়োজিত বিজেপির সভায়। সেখানও বক্তৃতা করবেন তিনি। রাজনৈতিক সমাবেশ শেষ করে মোদীর হেলিকপ্টার যাবে পানাগড়। সেখান থেকে বিমানে প্রধানমন্ত্রী যাবেন বিহারের গয়ায়। আবার প্রধানমন্ত্রী বাংলায় আসবেন ৬ মার্চ। ওই দিন সভা হবে বারাসতে।