২০১৫ সালে বেলুড় মঠ দর্শনে নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র
রাজভবন নয়, বেলুড় মঠে রাত কাটাবেন নরেন্দ্র মোদী। এমনটাই জানা গিয়েছে রাজ্য পুলিশ সূত্রে। ওই সূত্রটির দাবি, প্রধানমন্ত্রী নিজেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন স্বামী বিবেকানন্দের স্মৃতি বিজড়িত বেলুড় মঠে রাত কাটানোর। সেই মতো মঠ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, শনিবার সন্ধ্যায় বেলুড় মঠের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পর সেখানেই আন্তর্জাতিক অতিথিদের জন্য নির্দিষ্ট অতিথিশালায় তিনি রাত কাটাবেন। আগামিকাল, রবিবার সেখান থেকেই বেলা ১০টার সময় রওনা হবেন নেতাজি ইন্ডোরের উদ্দেশে।
রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে রাজভবন নয়, ওল্ড কারেন্সি বিল্ডিং-এর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগেই এ দিন বিকেলেই কোথাও বৈঠক হবে নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় স্থির হয়েছে। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা বৈঠকের সময় এবং স্থান নিয়ে দু’টি সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী আকাশপথে এসে রেস কোর্সে নামার পর সেখানকার গ্রিনরুমে বৈঠক হতে পারে। আবার প্রধানমন্ত্রী সফর সূচিতে সামান্য পরিবর্তন এনে রেস কোর্স থেকে সোজা চলে যেতে পারেন রাজভবন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ওল্ড কারেন্সি বিল্ডিংয়ের অনুষ্ঠানে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।’’
শেষ মুহূর্তে মোদী যদি সড়কপথে আসেন তার জন্যও তৈরি রাখা হয়েছে ‘লাইন অব রুট’। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে ভিআইপি রোড, কৈখালি, বাগুইআটি হয়ে হাডকো মোড় দিয়ে ইএম বাইপাস। এর পর মা উড়ালপুল ধরে রেড রোড হয়ে সোজা রাজভবন। যাত্রাপথের প্রথম অংশের পুরোটাই বিধাননগর কমিশনারেটের মধ্যে। শুক্রবার রাত থেকেই কৈখালি, বাগুইআটি কেষ্টপুর এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়। কারণ ওই জায়গাগুলোতে মোদীর কনভয়কে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে পারে বাম-কংগ্রেস, এমন খবর ছিল পুলিশের কাছে।
অন্য দিকে, এ দিন সকাল থেকেই যাদবপুর, কলেজ স্ট্রিট, গোলপার্ক এবং ধর্মতলায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। তবে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট সীমার পর তাঁদের আর এগোতে দেওয়া হবে না। রেসকোর্স থেকে রাজভবন বা সেখান থেকে ওল্ড কারেন্সি বিল্ডিং যাওয়ার রাস্তা বা মিলেনিয়াম পার্কের রাস্তায় যাতে কোনও বিক্ষোভ না হয় তার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাসূচি অনুযায়ী স্ট্র্যান্ড রোড-সহ কয়েকটি রাস্তা সাময়িক ভাবে অন্য যানের চলাচলের জন্য বন্ধ করা হবে।” একই ভাবে প্রস্তুতি রাখা হয়েছে হাওড়ার রাস্তাতেও।