প্রতীকী ছবি।
মোবাইলে অশ্লীল ছবি ও ভিডিয়ো দেখিয়ে একাধিক স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, ওই শিক্ষক ন’জন ছাত্রীর যৌন নির্যাতন করেছেন। ‘অপকর্ম’ ঢাকার জন্য তিনি ছাত্রীদের হাতে টাকাও গুঁজে দিতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিডিও (কুলতলি) বীরেন্দ্র অধিকারী।
গত বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কুলতলি থানায় অভিযোগ করেন ‘নির্যাতিতা’ দুই ছাত্রীর মা। ‘পকসো’ আইনে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। এখন তিনি বারুইপুর সংশোধনাগারে।
অভিযোগকারিণীর দাবি, মোবাইলে অশ্লীল ছবি ও ভিডিয়ো দেখিয়ে তাঁর দুই মেয়েকে যৌন নির্যাতন করেছেন ওই শিক্ষক। অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘আরও সাত ছাত্রীর সঙ্গে একই ঘটনা ঘটিয়েছেন ওই শিক্ষক। ওই শিক্ষক ছাত্রীদের (নির্যাতিতা) হাতেটাকা গুঁজে দিয়ে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করতেন’।
অবর স্কুল পরিদর্শক (কুলতলি) সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই শিক্ষকের গ্রেফতারি সম্পর্কে পুলিশের কাছে তথ্য চেয়ে ই-মেল করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে বিডিও-কে রিপোর্ট পাঠাব।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, এর আগে ২০১৮ সালেও ধৃত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর উপরে যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। তখন সালিশি সভা ডেকে তাঁকে সতর্ক করা হয়। রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের এক সদস্যা জানিয়েছেন, ‘পকসো’ আইন সম্পর্কে স্কুলে ধারাবাহিক ভাবে সচেতনতা কর্মসূচি চালানো হচ্ছে।