Justice Amrita Sinha

নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ না করে কাউকে আড়াল করতে চাইছেন? পর্ষদকে প্রশ্ন বিচারপতি সিংহের

মঙ্গলবার পর্ষদ আদালতে হলফনামা দিয়ে জানায়, এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে একটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ২০১৬ সালের নিয়োগের নীতি মেনে প্যানেল প্রকাশের নিয়ম নেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:০২
Share:

বিচারপতি অমৃতা সিংহ। — ফাইল চিত্র।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল চেয়েছিল আদালত। মঙ্গলবার পর্ষদ হলফনামায় জানাল, প্যানেল প্রকাশের নিয়ম নেই। এর পরেই বিচারপতি অমৃতা সিংহ জানান, নিয়োগের প্যানেল খতিয়ে দেখার অধিকার রয়েছে আদালতের। তাঁর মন্তব্য, প্যানেল প্রকাশ না করে কি কাউকে ঢাকতে চাইছেন? প্যানেল প্রকাশ হলে অসুবিধা কোথায়?

Advertisement

২০১৪ সালের টেটে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছিল। একটি ২০১৬ সালে এবং অন্যটি ২০২০ সালে। বিচারপতি সিংহ আগের শুনানিতে ওই দুই নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন পর্ষদকে। মঙ্গলবার পর্ষদ আদালতে হলফনামা দিয়ে জানায়, এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে একটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ২০১৬ সালের নিয়োগের নীতি মেনে প্যানেল প্রকাশের নিয়ম নেই।

এর পরেই বিচারপতি সিংহের মন্তব্য, ‘‘আমি প্রাথমিকের প্যানেল দেখতে চাই। মেয়াদ শেষের আগে একটা প্যানেল প্রস্তুত হয়। সেটি দেখতে চাই। নিয়োগের প্যানেল খতিয়ে দেখার অধিকার আদালতের অধিকার রয়েছে।’’ জবাবে পর্ষদ জানায়, বিধি মেনে জনসমক্ষে প্যানেল প্রকাশের নিয়ম নেই। এতে বিচারপতি সিংহ বলেন, ‘‘নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ না করে কাউকে ঢাকতে চাইছেন? এই প্যানেল বাড়িতে গচ্ছিত রাখার সম্পত্তি নয়। প্যানেল প্রকাশ হলে অসুবিধা কোথায়?’’ তিনি এও জানান, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে এক বার যা প্রকাশ করা হয়েছে, তা দ্বিতীয় বার প্রকাশে কেন অসুবিধা।

Advertisement

এই মামলার আগের শুনানিতে বিচারপতি সিংহ বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন, এমন ৯৪ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়েছিলেন। পর্ষদের আইনজীবী ৩০ নভেম্বরের শুনানিতে জানিয়েছিলেন, ওই ৯৪ জনকে শূন্যপদের বাইরে থেকে নিয়োগ করা হয়েছে। এমনকি, যে দু’টি প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। প্যানেলের জন্য আরও সময় দেওয়া হোক। শুনে বিচারপতি সিংহ বিস্ময় প্রকাশ করেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আর কত দিন বঞ্চিতেরা অপেক্ষায় থাকবেন! তাঁদের কাছে প্রতিটা দিনের মূল্য রয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘দেড় মাস সময় দেওয়া হল তার পরেও হলফনামা দিতে পারলেন না? আইনজীবীদের উপর চাপ বাড়লে পর্ষদ নতুন আইনজীবী নিয়োগ করুক।’’ এর পরে আদালত পর্ষদকে আরও সাত দিন সময় দেন। বিচারপতি জানিয়েছিলেন, আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পর্ষদকে হলফনামায় দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল আদালতে জমা দিতে হবে। সেই মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার। যেখানে পর্ষদকে প্যানেল প্রকাশ করতে না চাওয়ার জন্য ধমক দিয়েছেন বিচারপতি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement