—ফাইল চিত্র।
প্রাথমিকের দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। প্যানেলের বাইরে কারা চাকরি পেয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে তা-ও জানতে চাইল আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশ, আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পর্ষদকে হলফনামা দিয়ে প্যানেল জমা দিতে হবে। বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘পুরো প্যানেল সামনে এলেই জটিলতা কাটবে। দুর্নীতি হয়ে থাকলে তার আন্দাজও করা যাবে।’’ এর আগে প্রাথমিকের ২০১৬ এবং ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, গত ২৮ নভেম্বর পর্ষদ যে প্যানেল প্রকাশ করেছে তা আইন মেনে হয়নি।
গত শুনানিতে বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন এমন ৯৪ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথা বলেছিলেন বিচারপতি সিংহ। তাঁদের এখনও চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবারের শুনানিতে পর্ষদের আইনজীবী জানান, ওই ৯৪ জনকে শূন্যপদের বাইরে থেকে নিয়োগ করা হয়েছে। এমনকি, যে দু’টি প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। প্যানেলের জন্য আরও সময় দেওয়া হোক। সব শুনে বিচারপতি সিংহ বিস্ময় প্রকাশ করেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আর কত দিন বঞ্চিতেরা অপেক্ষায় থাকবেন! তাঁদের কাছে প্রতিটা দিনের মূল্য রয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘দেড় মাস সময় দেওয়া হল তার পরেও হলফনামা দিতে পারলেন না? পর্ষদের আইনজীবীদের উপর চাপ বাড়লে নতুন আইনজীবী নিয়োগ করুক।’’ এর পরে আদালত পর্ষদকে আরও সাত দিন সময় দেন। বিচারপতি জানান, আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পর্ষদকে হলফনামায় দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল আদালতে জমা দিতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১২ ডিসেম্বর।