২০২২ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দু্র্নীতি, নম্বর বিভ্রাট এমন হাজারো অভিযোগের মধ্যেই ২০২২ সালের টেট (প্রাথমিকে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের পরীক্ষা) পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বুধবার ৩০ নভেম্বর রাতে এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে তারা। এই বছর টেট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ ডিসেম্বর, রবিবার। পরীক্ষার্থীরা www.wbbpe.org অথবা http://wbbprimaryeducation.org এই দু’টি ওয়েবসাইট থেকে অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।
রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণিতে ১১ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হবে এই পরীক্ষার মাধ্যমে। ১১ ডিসেম্বর, রবিবার দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটে— চলবে পরীক্ষা। এ বারের টেটে যে বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন থাকছে, তার মধ্যে অর্ধেক প্রশ্ন হবে শিশুদের কী ভাবে পড়ানো হবে, তার উপর। বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক, পরিবেশবিদ্যা এবং শিশু বিকাশ ও মনস্তত্ত্বের উপরে ৩০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। তার মধ্যে ১৫ নম্বর বিষয়ভিত্তিক। আর শিশুদের পড়ানোর উপরে প্রশ্ন আসবে ১৫ নম্বরের। এই পদ্ধতিতে প্রশ্ন এই বছর প্রথম।
পর্ষদের জারি করা বিজ্ঞপ্তি। নিজস্ব চিত্র।
শেষ টেট হয়েছিল ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি। ওই পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল ২০১৭ সালে। সেই পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল আড়াই লাখের মতো। এ বছরের টেটে সেই সংখ্যা সাত লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিল পর্ষদ। পর্ষদ এর আগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, স্নাতকস্তরে ৪৫ শতাংশ নম্বর থাকলে টেটে বসতে পারবেন ইচ্ছুকরা। জেনারেল ক্যাটেগরির প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। রিজ়ার্ভ ক্যাটেগরির পরীক্ষার্থীরাও টেটে বসতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে তাঁদেরকে বিএড কোর্সের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে। সেই সঙ্গে স্নাতকস্তরে যাঁরা ৪০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন, রিজ়ার্ভ ক্যাটেগরির সেই চাকরিপ্রার্থীরা এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন। ২০১০ সালের ২৩ অগস্টের আগে যাঁরা স্নাতক-সহ বিএড ডিগ্রি পেয়েছেন, তাঁরাই রিজ়ার্ভ ক্যাটেগরিতে পরীক্ষা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছে পর্ষদ। প্রাথমিকে চাকরির নিয়োগের বয়সের উর্ধ্বসীমা ৪০ থাকলেও এ বছর টেটে বসার কোনও বয়সসীমাও রাখা হয়নি।