Justice Abhijit Gangopadhyay

এই ৩৬০০০ শিক্ষক এখন আর অপ্রশিক্ষিত নন! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে পাল্টা যুক্তি পর্ষদের

পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, এই শিক্ষকদের যখন নিয়োগ করা হয়েছিল তখন তা নিয়ম মেনেই হয়েছিল। এঁরা এখন আর অপ্রশিক্ষিত নন। এই ৩৬ হাজার শিক্ষকই যোগ্য, দাবি পর্ষদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৩ ২০:০০
Share:

২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের নিয়োগ নিয়েই বিতর্ক। গ্রাফিক— সনৎ সিংহ

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ৩৬ হাজার প্রাথমিকের শিক্ষকের নিয়োগে ত্রুটি রয়েছে। পাল্টা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বলল, এই শিক্ষকেরা এখন আর অপ্রশিক্ষিত নন। এঁদের নিয়োগেও ভুল ছিল না কোনও।

Advertisement

কিসের ভিত্তিতে এ কথা বলছে পর্ষদ, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তিনি জানিয়েছেন, এই শিক্ষকদের যখন নিয়োগ করা হয়েছিল তখন তা নিয়ম মেনেই হয়েছিল। আর সেই নিয়মেই এঁরা আর এখন অপ্রশিক্ষিত নন। এবং শিক্ষক হওয়ার যোগ্যও।

শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের অনতিবিলম্বেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে গৌতম বলেন, ‘‘যথা নিয়মেই এই শিক্ষকদের অ্যপ্টিটিউড টেস্ট হয়েছিল, বিশেষজ্ঞরা অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নিয়েছেন, তাঁরাই নম্বরও দিয়েছেন। তাঁরা কাকে কত নম্বর দেবেন, তা তো তাঁদের সিদ্ধান্ত। বোর্ডের নির্দেশ মেনে তো নম্বর দেননি! সুতরাং এঁদের নিয়োগে কোনও ভুল ছিল না।’’

Advertisement

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে এখন প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক হলেও আগে এই নিয়ম ছিল না। শিক্ষাবিদরা জানাচ্ছেন, এক সময় এমনও নিয়ম ছিল যে, নিয়োগের পর দু’বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করা যাবে। সেই নিয়মেই এই ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ হয়েছিল। গৌতমের দাবি, ‘‘যাঁদের প্রশিক্ষণ নেই বলা হয়েছে, তাঁদের ওডিএল মোডে প্রশিক্ষণ হয়েছে। পর্ষদই এই শিক্ষকদের এনসিটিই নিয়ম মেনে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।’’

প্রাথমিকে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল কি সমর্থন করেন?

ফলাফল দেখুন

২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের নিয়োগ নিয়েই বিতর্ক। মোট ৪২ হাজার ৫০০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। এঁদের মধ্যে ৩৬ হাজারেরই প্রশিক্ষণ ছিল না বলে তাঁর নির্দেশে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও একই সঙ্গে বিচারপতি বলেছেন, এঁদের মধ্যে যাঁরা নম্বর এবং প্রশিক্ষণে যোগ্য, তাঁরা আবার পরবর্তী নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু পর্ষদ পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেছে, এঁরা সবাই এখন যোগ্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement