প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। —ফাইল চিত্র।
হাই কোর্টের নির্দেশে সময় মতোই সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর রাত ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেস থেকে বেরোলেন গৌতম। তিনি বেরিয়ে গেলেও পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
বুধবার চতুর্থীর সন্ধ্যায় ৬টার মধ্যে গৌতমকে সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। গৌতম নিজাম প্যালেসে পৌঁছে গিয়েছিলেন ৫টা ৫৩ মিনিটে। সিবিআই দফতরে প্রবেশের আগে সাংবাদিকেরা কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে চুপচাপ দফতরে ঢুকে গিয়েছিলেন। রাত ১১টা নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মহামান্য আদালত আমাকে সিবিআই দফতরে আসতে বলেছিল। কোর্টের নির্দেশে এসেছি। সিবিআই আধিকারিকেরা যা যা জানতে চেয়েছেন তা জানিয়েছি।” এর পরেই গাড়িতে উঠে যান তিনি।
কেন পর্ষদ সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ? বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকের অনেক মামলা শুনানি হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। পর্ষদের বর্তমান সভাপতি-সহ অন্য আধিকারিকেরা নতুন প্রিন্ট করা কপিকে ‘ডিজিটাইজ়ড কপি’ বলে দাবি করেছেন। তাই আদালত মনে করছে, পর্ষদ সভাপতি এবং ডেপুটি সেক্রেটারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিচারপতি এ-ও জানান, সিবিআই চাইলে পর্ষদের যে কোনও আধিকারিককে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।
বুধবার হাই কোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। ২০১৪ সালের টেট দুর্নীতি সংক্রান্ত ওই রিপোর্ট দেখার পরেই গৌতমকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এই রিপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’ তদন্তে সহযোগিতা না করলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের স্বাধীনতাও সিবিআইকে দিয়েছেন বিচারপতি।