ছবি পিটিআই।
দফায় দফায় আনাজের ঊর্ধ্বমুখী দামে হিমশিম খাচ্ছে আমজনতা। গড়পরতা আনাজের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০-১৫ টাকা করে। কোনও কোনও বাজারে সেই বৃদ্ধি কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে। আকাশছোঁয়া দাম ঠেকাতে সরকারের একটি টাস্কফোর্সও রয়েছে। কিন্তু তারপরেও আনাজের দাম এ ভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে কেন বাড়ছে, তার উত্তর মেলেনি।
মরসুমের আনাজগুলিরও দামবৃদ্ধি হয়েছে এর মধ্যে। যেমন পটল কেজিপ্রতি মিলছে ৬০-৮০ টাকায়। করলা ৫০-৬০ টাকা, বেগুনের দর কোথাও কেজিপ্রতি ৬০-৭০ টাকা, আবার কোথাও তা ৮০ টাকায় বিকোচ্ছে। ঝিঙে ৩০-৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, টমেটো ৬০-৮০ টাকা, বরবটি ৪০-৬০ টাকা, কাঁচালঙ্কা ১৫০-১৭০টাকা, গাজর কেজিপ্রতি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জেলার শহর এবং গ্রামীণ এলাকাভিত্তিক আনাজের দর ভিন্ন। আবার বাজারভিত্তিক ভাবেও আনাজের দর আলাদা।
আচমকা কেন এ ভাবে দাম বাড়ছে, তা নিয়ে প্রশাসনের অন্দরের ব্যাখ্যা, বৃষ্টি-বাদলার কারণে গত কয়েকদিনে আনাজের জোগান মার খেয়েছে। অনেক জায়গায় আনাজ নষ্ট হয়েছে মাঠেই। সেই কারণে দাম বেড়েছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই ব্যাখ্যার মধ্যেই রয়েছে পরিকাঠামোগত ব্যর্থতার কথা। কৃষিপণ্য বাজারজাত করার আগে সংরক্ষণের পরিকাঠামো এ রাজ্যে এখনও প্রায় নেই বলেই মনে করেন কৃষি বিপণন বিশেষজ্ঞরা।
সরকারের টাস্কফোর্সের এক সদস্যের কথায়, “আধিকারিকেরা বাজারে বাজারে ঘুরছেন। নজরদারি চলছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে।” রাজ্যের এক মন্ত্রী বলেন, “আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। আনাজের দামও নিয়ন্ত্রণে আনতে যা করার তা-ই করা হবে।”
প্রশাসন যা-ই আশ্বাস দিক না কেন, চলতি মাসের গোড়া থেকেই কাঁচা বাজারের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গত শুক্রবার আলুর দাম নিয়ে তৃতীয় তথা সর্বশেষ বৈঠকে সরকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে, সাত দিনের মধ্যে পাইকারি বাজারে আলুর দাম ২২ টাকায় নামিয়ে না আনলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। তবে রবিবারও বিভিন্ন বাজারে জ্যোতি আলু পাইকারিতে ২৯-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খোলা বাজারে তার কেজিপ্রতি দর ছিল ৩১-৩২ টাকা। চন্দ্রমুখী আলু পাইকারিতে কেনা পড়ছে কেজিপ্রতি ৩১-৩২ টাকায়। খুচরো বাজারে তা ৩৫-৩৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এলাকা এবং বাজারের নিরিখে সেই দামেও তারতম্য রয়েছে।