Cyclone Asani

Cyclone Asani in West Bengal: ‘অশনি’ আশঙ্কায় বন্ধ থাকবে ত্রিফলা, বাড়তি জল মজুতের সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা রোধে ত্রিফলা এবং বাতিস্তম্ভগুলি পরিদর্শনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুর কমিশনার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২২ ২১:৪৬
Share:

ফাইল চিত্র।

সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতায়। ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র আশঙ্কায় আরও আঁটসাঁট প্রস্তুতি শুরু করে দিল কলকাতা পুরসভা। ঝড়বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য রাস্তার ত্রিফলা বাতিস্তম্ভে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জলের জোগান চালু রাখার জন্য ৮০টি গাড়ি ভর্তি রয়েছে বলে এক আধিকারিক জানিয়েছেন। পাশাপাশি, ঝড়ঝাপ্টা থেকে টালা ট্যাঙ্ককে সুরক্ষিত রাখতে সেখানে ৮০ শতাংশ জল ভরে রাখা হবে। সোমবার পুরসভায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে হয়। সেখানেই এই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যেই ‘অশনি’র কথা মাথায় রেখে পুর এলাকায় ১৩ জন মেয়র পারিষদকে বরোভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি বরোগুলিতে পর্যাপ্ত ত্রিপল, ত্রাণসামগ্রী এবং জল মজুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

অনেক সময় বৃষ্টিতে বা জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। সে সব রোধে ত্রিফলা এবং রাস্তার বাতিস্তম্ভগুলি পরিদর্শনের কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুর কমিশনার বিনোদ কুমার। একই সঙ্গে, বৃষ্টি শুরু হলে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে পুর বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খোলা তারের জন্য সিইএসসি-কেও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হলেও যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না হয়, সে জন্য জলপ্রকল্প এবং বুস্টার পাম্পিং স্টেশনগুলিতে জেনারেটর রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। শহরবাসীর জলের সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য জলের জোগানেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জল সরবারহ স্বাভাবিক রাখতে পাম্পিং স্টেশনগুলিতে সোমবার থেকেই পুরকর্মীরা থাকছেন। ভারী বৃষ্টিতে জল জমলে, তা নিষ্কাশনের জন্য ৭৭টি পাম্পিং স্টেশনের ৯৫ শতাংশই সক্রিয় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক সময় পাম্পিং মেশিন সক্রিয় রেখেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়। সে জন্য প্রায় ৬৫০টি পোর্টেবল পাম্প বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

দুর্যোগের আশঙ্কায় বরোগুলিতে বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের নিয়ে দল তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দলও প্রস্তুত রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement