Tangra Triple Murder Case

গোপন জবানবন্দি দিতে শিয়ালদহ আদালতে ট্যাংরার কিশোর প্রতীপ, হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেল পুলিশ

প্রতীপ এখন এনআরএসে ভর্তি রয়েছে। তার বাবা প্রণয় দে-ও ওই একই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁকেও গ্রেফতার করা হতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫ ১৮:২০
Share:
শুক্রবার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য কিশোরকে আনা হয় আদালতে।

শুক্রবার গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন্য কিশোরকে আনা হয় আদালতে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

এনআরএস হাসপাতাল থেকে শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে আনা হল ট‍্যাংরার প্রতীপ দে-কে। গোপন জবানবন্দি নেওয়ার জন‍্য তাকে আনা হয়। এর আগে প্রতীপের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে চেয়ে হাসপাতালের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তার পরের দিন, শুক্রবারই প্রতীপকে আনা হল আদালতে।

Advertisement

প্রতীপ এখন এনআরএসে ভর্তি রয়েছে। তার বাবা প্রণয় দে-ও ওই একই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁকেও গ্রেফতার করা হতে পারে। দে পরিবারের তিন মহিলার খুনের ঘটনায় প্রতীপের কাকা প্রসূন দে-কে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি শিয়ালদহ আদালতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছেন। কিশোরের গোপন জবানবন্দি নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। তার শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা কেমন রয়েছে, জানতে চেয়ে হাসপাতালের রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় আদালত। তার পরে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মেনে শুক্রবার আদালতে আনা হয় প্রতীপকে।

১৯ ফেব্রুয়ারি অভিষিক্তা মোড়ের কাছে একটি স্তম্ভে ধাক্কা দেয় একটি গাড়ি। তাতে ছিলেন দুই ভাই প্রণয় ও প্রসূন এবং প্রণয়ের ছেলে প্রতীপ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের ভর্তি করানো হয় বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে। দুই ভাইয়ের থেকেই পুলিশ জানতে পারে, তাঁদের ট্যাংরার বাড়িতে পড়ে রয়েছে তিন মহিলার দেহ। এর পরেই সেখানে গিয়ে তিন জনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, ওই তিন মহিলাকে খুন করা হয়েছে। জেরার মুখে প্রসূন দাবি করেন, তিনিই নিজের স্ত্রী রোমি দে, বৌদি সুদেষ্ণা দেব এবং কন্যা প্রিয়ম্বদাকে খুন করেছেন। তাঁর আরও দাবি, পরিবারের সকলে মিলে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার জন্য ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খেয়েছিলেন সকলে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে প্রিয়ম্বদার মৃত্যু হয়। প্রসূনের দাবি, পায়েস খেয়ে দুই বধূর মৃত্যু হয়নি। তাঁরা আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলেও পারেননি। তখন প্রসূনই তাঁদের হাতের শিরা এবং গলা কেটে দেন বলে দাবি করেন। কিশোর প্রতীপকেও খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তার হাতে কাটা দাগ রয়েছে। প্রসূনের আরও দাবি, আত্মহত্যার উদ্দেশ্যেই প্রসূন, প্রণয়, প্রতীপ গাড়ি নিয়ে বাইপাসের ধারে একটি স্তম্ভে ধাক্কা মারেন। পুলিশ এই সমস্ত বয়ান খতিয়ে দেখছে। তদন্তকারীদের একটি অংশ মনে করছে, এই ক্ষেত্রে কিশোরের বয়ান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। শুক্রবার তাঁকে গোপন জবানবন্দির জন্য আদালতে আনা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement