খণ্ডঘোষে উপপ্রধানের বাড়ি। নিজস্ব চিত্র
কয়েক বছর আগেও ছিল গোটা তিনেক ভাঙাচোরা ঘর। এখন গ্রামে চার তলা বাড়ি ছাড়াও, বর্ধমান শহর লাগোয়া খাগড়াগড়ে রয়েছে একটি বাড়ি। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের শাঁকারি ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের জাহাঙ্গির শেখের সম্পত্তির এমন ‘ভোলবদল’ নিয়ে এলাকার অনেকের মনে প্রশ্ন ছিলই। এত বড় বাড়ি থাকা সত্ত্বেও উপপ্রধানের পরিবারের চার জনের নাম রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায়, এ খবর চাউর হতে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, গ্রামে একটি পারিবারিক মিষ্টির দোকান রয়েছে জাহাঙ্গিরের। আগে তেমন প্রতিপত্তি না থাকলেও, উপপ্রধান হওয়ার পরে তাঁর প্রতাপ বাড়তে থাকে। জাহাঙ্গির আগে ধানের ব্যবসা শুরু করলেও, তাতে বাড়বাড়ন্ত হয় উপপ্রধান হওয়ার পরে। বিজেপির খণ্ডঘোষের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা খোকন সেনের অভিযোগ, ‘‘এলাকায় খোঁজ নিয়ে জেনেছি, সহায়ক মূল্যে ধান কেনায় কাটমানি নেন উপপ্রধান।’’ সিপিএম নেতা বিনোদ ঘোষের দাবি, ‘‘একশো দিনের কাজে ভুয়ো মাস্টাররোল তৈরি-সহ পঞ্চায়েতে নানা দুর্নীতিতে যুক্ত ওঁরা।’’
স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের শিউলি খাঁ এ দিন দাবি করেন, ‘‘পঞ্চায়েত জাহাঙ্গিরই চালাতেন। আমার কোনও ভূমিকা নেই।’’ জাহাঙ্গির অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন। তাঁর দাবি, ‘‘আইন মেনেই সব করি। মোটা টাকা আয়করও দিই।’’