প্রতিবাদে কার্যত পিছু হঠেছে সিইএসসি। বিল হাতে না পেলে টাকা জমা না করার অনুরোধ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের।
জুন মাসের নতুন বিল যত ক্ষণ না সিইএসসি পাঠাচ্ছে, টাকা জমা দেবেন না। বিল বিতর্কে বিদ্যুৎবণ্টন সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে সোমবার বৈঠকের পর গ্রাহকদের উদ্দেশে এমন বার্তাই দিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
চড়া বিদ্যুতের বিল নিয়ে মানুষের ক্ষোভ এবং লাগাতার প্রতিবাদে কার্যত পিছু হঠেছে সিইএসসি। সংস্থার তরফে রবিবার রাতে জানানো হয়, এপ্রিল এবং মে মাসের বকেয়া মাসুল দিতে হবে না। জুন মাসের বিলের টাকা জমা দিলেই হবে। তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়। যাঁরা ইতিমধ্যেই টাকা জমা দিয়েছেন তাঁরা কী করবেন? জুন মাসের নতুন বিলে কত ইউনিট ধরা হবে? সেই বিল কত দিনের মধ্যে পাঠানো হবে? এ দিন সিইএসসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী। তার পর তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে সিইএসসি-কর্তাদের কথা হয়েছে। ওঁরা নতুন করে বিল পাঠাবেন। সেই বিল হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কেউ টাকা জমা করবেন না। ওঁরা একটু সময় চেয়েছেন। দু’তিন দিন সময় লাগবে।”
এ বিষয়ে সিইএসসি কর্তারা নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠক করেন। তার পর বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তারা আলোচনা করেন। কিন্তু ওই প্রশ্নগুলির জবাব তাঁরা বিদ্যুৎমন্ত্রীকে জানাতে পারেননি। সময় চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজ্যে সংক্রমণ ও মৃত্যুতে রেকর্ড, হাল বুঝে এলাকা ধরেই লকডাউন
শোভনদেববাবু বলেন, “আমার সঙ্গে সব কিছু নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বিল ধরে ধরে ওদের কাছে ব্যাখা চেয়েছি। কোনও গ্রাহকের লাইন কাটা যাবে না। লেট পেমেন্ট চার্জ করা যাবে না।” তাঁর দাবি, এ বিষয়ে প্রথম থেকেই পদক্ষেপ করা হয়েছে। শোভনদেবের কথায়, ‘‘কেন আমার উপরে চাপ আসবে, সেটাও ওদেরকে বলেছিলাম। তার পর সমস্ত কাগজে বিজ্ঞাপন দিতে হবে বলেছিলাম। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হওয়া যায়নি।’’
আরও পড়ুন: বিল-বিক্ষোভে পিছু হঠল সিইএসসি, ‘কলকাতার জয়’, টুইট অভিষেকের
এ বিষযে সিইএসসি-র ভাইস প্রেসিডেন্ট অভিজিৎ ঘোষ বলেন, “সব বিষয় স্পষ্ট করে গ্রাহকদের খুব শীঘ্রই জানিয়ে দেওয়া হবে।” যদিও ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভ চলছে আজ। গ্রাহকরা সিইএসসি-র মূল ভবনের সামনে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।