Potato Price Hike

আকালেও রাতের অন্ধকারে আলু পাচার, নদী পেরিয়ে যাচ্ছে অসমে! কোচবিহারে অভিযোগ ওড়াল পুলিশ

ব্যবসায়ীর কর্মবিরতির জেরে বাজারে অগ্নিমূল্য আলু। জোগানেও ঘাটতি। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে অসমে আলু পাচারের অভিযোগ উঠল কোচবিহারের তুফানগঞ্জে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪ ১৯:১৩
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

ব্যবসায়ীর কর্মবিরতির জেরে বাজারে অগ্নিমূল্য আলু। জোগানেও ঘাটতি। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে অসমে আলু পাচারের অভিযোগ উঠল কোচবিহারের তুফানগঞ্জে। দাবি, পুলিশের একাংশের মদতেই এই কারবার চলছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবশ্য বক্তব্য, চোরাচালান আটকানো নিয়ে পুলিশের কাছে নির্দেশ রয়েছে। যা করার পুলিশই করবে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য অবশ্য জানান, এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগই পাইনি।

Advertisement

বাজারে জোগান পর্যাপ্ত রেখে আলুর দাম কমাতে চেয়ে আপাতত বাইরের রাজ্যে আলু রফতানিতে লাগাম টানার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকে সীমান্তে আলুর গাড়ি আটকে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন আলু ব্যবসায়ীরা। যার জেরে হিমঘর থেকে আলু বেরোচ্ছিল না। সেই পরিস্থিতিতে জোগান কমে যাওয়ায় আলুর দাম বেড়ে গিয়েছে খুচরো বাজারে। বুধবার আলু ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন। কিন্তু খুচরোবাজারে এখনও আলুর দাম সাধারণের আয়ত্তের মধ্যে আসেনি। তার মধ্যেই আলু পাচারের অভিযোগ নিয়ে শোরগোল পড়ল তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতেই ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সঙ্কোশ নদীর পারে বিভিন্ন জায়গা থেকে আলু নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে সেই আলু নৌকাবোঝাই করে পাচার করা হয় অসমে। অভিযোগ, ভিলেজ পুলিশই এতে মদত দিচ্ছে! ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় বাসিন্দা শঙ্কর আর্য বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে, অন্য রাজ্যে আলু রফতানি করা যাবে না। অসম-বাংলা গেটে গাড়ি আটকে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এ দিকে ফলিমারিতে আলুর গাড়ি অফলোড হয়েছে। রাতের অন্ধকারে নৌকায় করে সেই আলু অসমে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ভিলেজ পুলিশ তাতে মদত দিচ্ছে।’’

Advertisement

এই অভিযোগ প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা পরিষদের অতিরিক্ত জেলাশাসক সৌমেন দত্ত বলেন, ‘‘বর্তমানে আলুর দাম ৩০ টাকা কেজি রয়েছে। প্রতিটি ব্লকে ও পুরসভা এলাকায় বিভিন্ন সেল্ফহেল্প গ্রুপ ও বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। চোরাচালান আটকানোর বিষয়টি নিয়ে সরাসরি পুলিশের কাছে নির্দেশ রয়েছে। পুলিশ বিষয়টি দেখবে কোথাও চোরাচালান হচ্ছে কি না। আর যা ব্যবস্থা গ্রহণ করার পুলিশ গ্রহণ করবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement