কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে এ ধরনের পোস্টার পড়েছে।
চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়েছেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তৃণমূল নেতা তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে এমনই দাবি করে শহর জুড়ে পোস্টার পড়েছে। পোস্টারগুলি ‘কোচবিহার জনগণের’ পক্ষে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি। রবীন্দ্রনাথের পাশাপাশি এতে কোচবিহার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কল্যাণী পোদ্দারের নামেও একই দাবি করা হয়েছে। যদিও একে বিজেপির ‘নোংরা খেলা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। বিজেপির পাল্টা দাবি, আমজনতাই তৃণমূল নেতাদের ঘেরাও করে টাকা আদায় করবে।
সোমবার সকাল থেকে কোচবিহার শহর জুড়ে ছড়ানো পোস্টারে দাবি, “আমাদের দলের বর্তমান (কোচবিহার) পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও কল্যাণী পোদ্দার কোটি কোটি টাকা তছরুপ করেছেন, যাহা কোচবিহারবাসীর কাছে অবগত রয়েছে। রবি (রবীন্দ্রনাথ) ঘোষ চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা সমগ্র কোচবিহার থেকে তুলেছে, চাকরি দিতে পারেনি, টাকাও গায়েব করে দিয়েছে, যে টাকার কিছু অংশ কলকাতায় দেওয়া হয়েছে। কল্যাণী পোদ্দার বদলি ও চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছেন। আমাদের সময় এসেছে, ওদের বাড়ি ঘেরাও করে টাকা আদায় করার, টাকা ফেরত না দিলে তাঁদের পিঠের চামড়া উঠিয়ে নেওয়া হবে।’’
সকাল থেকেই এ ধরনের পোস্টারগুলি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। যদিও রবীন্দ্রনাথের দাবি, সবই বিজেপির চক্রান্ত। তিনি বলেন, ‘‘এটা কারা করেছে, তা জানা নেই। যদি সাহস থাকে, তা হলে সামনে এসে এ সব কথা বলুক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাবার নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে, সেটা প্রকাশ্যে এসেছে। বিজেপি সে ঘটনার কাউন্টার (মোকাবিলা) করতে পারছে না, তাই আমাদের সম্মানহানি করার জন্য এ ধরনের নোংরা খেলায় নেমেছে।’’
রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে সরব হয়ে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভাপতি সুকুমার রায়ের পাল্টা দাবি, ‘‘রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং কল্যাণী পোদ্দার চাকরির নামে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, তা সকলেই জানে। কিন্তু এত দিন মানুষ কিছু বলার সাহস পায়নি। বিজেপি ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছে, তাই মানুষ এখন বলার সাহস পাচ্ছে। চাকরির নামে টাকা নিয়েছেন, এ ধরনের বহু তৃণমূল নেতা ইতিমধ্যে জেলে রয়েছেন। যাঁরা ওই নেতাদের টাকা তুলে দিয়েছেন, তাঁরা এখনও বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সাধারণ মানুষের টাকা যদি এই নেতারা ফেরত না দেন, তা হলে ভবিষ্যতে এঁরা আর বাইরে বেরোতে পারবেন না। এঁদের রাস্তাঘাটে যেখানেই পাবেন ঘেরাও করে টাকা আদায় করবে সাধারণ মানুষ।’’