আনারুল শেখ। নিজস্ব চিত্র ফাইল ছবি
ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক। লটারি জিতে রাতারাতি লক্ষপতি!
এক কোটি টাকার লটারির টিকিট কেটে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন। কেটেকুটে হাতে অন্তত ষাট-পঁয়ষট্টি লক্ষ টাকা আসার কথা। নিরাপত্তার কারণে লটারির টিকিটটি আপাতত চাপড়া থানার পুলিশের জিম্মায় রেখেছেন নদিয়ার চাপড়ার বড় আন্দুলিয়ার আনারুল শেখ।
চেনাপরিচিতেরা শুক্রবার তাঁর জীর্ণ বাড়ির সামনে ভিড় করেছিলেন। এখনও যেন বিশ্বাস হচ্ছে না তাঁদের। ক’দিন আগেও সংসার চালাতে যিনি হাত পাততে বাধ্য হতেন তিনি আজ কয়েক লক্ষ টাকার মালিক! বছর পঁয়তাল্লিশের আনারুলের লটারির টিকিট কাটার নেশা অনেক দিনের। রোজগারের কয়েক হাজার টাকা লটারির টিকিটেই খরচ করে ফেলতেন। সংসার চলত না। তাঁর কথায়, “লটারির টিকিট কাটার নেশায় কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ফেলেছিলাম। জমিজমা, বাড়ি থেকে শুরু করে মোটরবাইক— সব বিক্রি করে টিকিট কেটেছি। নিজেকে নিঃস্ব করে ফেলেছিলাম।” বসতবাড়ি বিক্রি করে আশ্রয় নিয়েছিলেন মামাবাড়িতে। পরিজনের মুখে ভাত তুলে দিতে চলে যান কেরলে, নির্মাণ শ্রমিকের কাজে। লটারির টিকিট কাটার নেশা যায়নি।
পুজোর ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। কৃষ্ণনগর স্টেশনে গিয়ে নবমীর সকালে কেরলে ফেরার টিকিট কাটেন। ফেরার পথে বড় আন্দুলিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে চেনা লটারির দোকানে গিয়ে নগদ দেড় হাজার টাকায় টিকিট কিনে বাড়ি ফেরেন। পরের দিন নম্বর মেলাতে গিয়ে দেখেন, তিনি কোটি টাকা জিতেছেন।
আনারুল শেখ বলেন, ‘‘আমি যা কিছু হারিয়েছি আবার সব কিছু করব। কিন্তু আর লটারির টিকিট কাটব না। এই টাকায় ব্যবসা শুরু করে থিতু হতে চাই। মা, স্ত্রী, সন্তানকে নিয়ে ভাল জীবন কাটাতে চাই।”