অমৃত ভারত ট্রেন পৌঁছতেই নিজস্বী। শনিবার রামপুরহাটে। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।
দেশের প্রথম ‘অমৃত ভারত’ এক্সপ্রেস পেল বাংলা। বিশেষ প্রযুক্তিযুক্ত ট্রেনটি ৪২ ঘণ্টায় মালদহ টাউন স্টেশন থেকে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছবে। কিন্তু, শনিবার, সেই ট্রেন উদ্বোধনের দিনে উদ্দীপনার সঙ্গেই থেকে গেল রাজনীতিও।
অযোধ্যা থেকে এ দিন ছ’টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পাশাপাশি দু’টি অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একটি অমৃত ভারত পেয়েছে বাংলা। তবে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মতোই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে এ দিন মালদহ থেকে ছুটল অমৃত ভারত ট্রেন। ‘জয় শ্রীরাম’ শোনা গেল বোলপুরেও।
শনিবার বেলা ১১টা ৩৮ মিনিটে ট্রেনটি ছাড়লেও, এ দিন সকাল ৯টা থেকেই উদ্বোধন-অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায় মালদহ টাউন স্টেশনে। বিজেপির উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু, ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর সঙ্গে অনুষ্ঠানে ছিলেন দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস সাংসদ ও দলের জেলা সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী, পুরপ্রধান তৃণমূলের কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীও।
মালদহ, রামপুরহাট ও বোলপুর—তিন স্টেশনেই এই নতুন ট্রেন ঘিরে উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। ফুল, বেলুন দিয়ে সুসজ্জিত ট্রেন দেখতে যাত্রাপথের একাধিক স্টেশনে ট্রেন আসার অনেক আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বহু মানুষ। তাঁদের দেখে ট্রেনের কামরা থেকেও ‘জয় শ্রীরাম, বিজেপি জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেন বিজেপির নেতা- নেত্রীরা। ট্রেন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানোর পরেই মোবাইল হাতে নিজস্বী তুলতে শুরু করেন অপেক্ষমাণ লোকজন। ট্রেনের যাত্রীরাও স্টেশনের ভিড়ের ছবি তোলেন।
আবু হাসেম বলেন, “ট্রেনটির জন্য আমরা বহু বার রেলকে দাবি জানিয়েছি। বিজেপি এখন কৃতিত্ব নিতে চাইছে।” কৃষ্ণেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলার জন্য ট্রেন দিয়েছেন। তবে, বিজেপির মতো এত প্রচার করেননি।” পাল্টা বিজেপি সাংসদ খগেনের বক্তব্য, “ট্রেনটির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মালদহ থেকে দ্রুত এ বার বেঙ্গালুরু পৌঁছনো যাবে। কে, কী বলছেন, তাতে কিছু যায়-আসে না!” পূর্ব রেলের মালদহ ডিভিশনের ডিআরএম যতীন্দ্র কুমার জানান, এই ট্রেনে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।