TMC

পুরুলিয়ায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ, আহত তৃণমূল শহর সভাপতি, অভিযোগ বিজেপি-র বিরুদ্ধে

ঘটনাস্থল থেকে তৃণমূল নেতাকে স্থানীয় পেট্রল পাম্পের মালিক ও কর্মীরা উদ্ধার করেন। পরে পুরুলিয়া সদর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ তাঁকে সেখান থেকে  স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি  করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২১ ০০:৩০
Share:

আহত বিভাসরঞ্জন দাস। নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূলের পুরুলিয়া শহর সভাপতি বিভাসরঞ্জন দাসকে বেধড়ক মারধর ও লুঠপাটের করার অভিযোগ উঠল বিজেপি বিধায়কের ভাই ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার সময় ছবি তুলতে গিয়ে আহত হলেন এক চিত্র সাংবাদিকও।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি পেট্রল পাম্পের কাছে। অভিযোগ, বিভাস অন্যান্য দিনের মতো বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের এক বিজেপি কর্মী তাঁর পথ আটকান। সেখানেই পুরুলিয়া বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের ভাই প্রদীপ মুখোপাধ্যায় ওরফে বিল্টুর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন বিজেপি কর্মী এসে তাঁকে ব্যাপক মারধর করে মেরে ফেলার চক্রান্ত করে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তাঁর থেকে সোনার চেন, আংটি, ঘড়ি ছিনতাই করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থল থেকে তৃণমূল নেতাকে স্থানীয় পেট্রল পাম্পের মালিক ও কর্মীরা উদ্ধার করেন। পরে পুরুলিয়া সদর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ তাঁকে সেখান থেকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। তাঁর মাথায় ১২ টি সেলাই করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে এক চিত্রসংবাদিককেও বিজেপি কর্মীরা মারধর করে। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত বিধায়কের ভাই প্রদীপ ওই চিত্র সাংবাদিককে তাঁর মোটর সাইকেলে করে তুলে নিয়ে গিয়ে পুরুলিয়া শহরের বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে এসে সেই ছবি মুছে ফেলতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ।

বিভাসের কথায়, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বার ব্যাপক মানুষের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করায় বিজেপি সমর্থকদের ক্ষোভ এসে পড়েছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ওপর।’’ বিজেপি জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী জানান, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই, খোঁজ নিয়ে দেখছি। বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলের লোকজন বিরক্ত করছিল। আজ কী হয়েছে জানি না, খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement