—ফাইল চিত্র।
প্রজাতন্ত্র দিবসেও প্রতিযোগিতা বহাল থাকল বঙ্গ রাজনীতিতে।
বাম কিংবা বিজেপির পৃথক কর্মসূচি তো ছিলই, বাদ গেল না শাসক তৃণমূলও। প্রত্যেক দলেরও উদ্দেশ্য, তারাই প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রজাতন্ত্র দিবসকে।
তবে ধারে ভারে তৃণমূলের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেনি বিরোধী দলগুলি। পাড়ায় পাড়ায় জাতীয় পতাকা তোলার একাধিপত্য এ দিন শাসকের হাতেই ছিল। ছোট-মাঝারি থেকে মন্ত্রী-সান্ত্রীরা তেরঙা উড়িয়ে যেমন দেশাত্ববোধ দেখিয়েছেন, তেমনই বুঝিয়ে দিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে তৃণমূলের উপস্থিতি নজরকাড়া। কোথাও কোথাও আবার সকালবেলার দেশভক্তির গানবাজনা রাত গড়াতেই ‘মাচা ফাংশন’-এ মিলিয়ে গিয়েছে শাসকের নিয়ন্ত্রণেই।
বামেরা সকাল সকাল ১০ মিনিটের মানব বন্ধনেই নিজেদের সীমিত রেখেছেন এ দিন। প্রজাতন্ত্র দিবসে তাঁদের শপথ দেশের সংহতি, ঐক্য ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখার। এ দিন বেশ কিছু স্থানে মূলত সিপিএমের নেতৃত্বে বামদলগুলির মানব বন্ধন ছিল চোখে পড়ার মতো। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকের টুইট,‘‘দেশে প্রকৃত সাম্য ও সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রয়াস আরও জোরালো করতে হবে।’
রাজ্যে আরএসএস-বিজেপিও প্রজাতন্ত্রে সামিল করেছেন ভারতমাতাকে। পাড়ায় পাড়ায় ‘ভারতমাতা পুজন’ করে জাতীয়তাবাদের জিগির তোলাই যে উদ্দেশ্য তা স্পষ্ট এই কর্মসূচিতে। যদিও বিজেপির দাবি, দলিত, পিছড়ে, ওবিসি, তফসিলির নামে যে ভাবে সমাজকে বিভাজনের রাজনীতি হচ্ছে সেখানে অখণ্ড ভারতমাতার পুজোয় দেশের ঐক্য ধরের রাখার মাধ্যম। কোনও বিশেষ মাধ্যমে এবার যায়নি কংগ্রেস। তারা জাতীয় পতাকা তুলে আর জাতীয় সঙ্গীয় গেয়েই প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করেছে।
এর ফাঁকেই অবশ্য জোরকদমে প্রচার চলেছে উলুবেড়িয়া এবং নোয়াপাড়ার উপনির্বাচনে। কোন দল জিতবে তা নিয়ে সংশয় অবশ্য নেই। তবে দ্বিতীয়-তৃতীয় হওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে দুই উপনির্বাচনে।