রাখিতে মমতা। সঙ্গে স্লোগান।
রাখি নিয়েও রাজনীতির আবহ। বিধানসভা নির্বাচন মিটে গেলেও বাংলায় তিন বছর পরের লোকসভা নির্বাচন এখন থেকেই রাজনীতির বিষয় হয়ে উঠেছে। বিজেপি বিরোধী জোটে বড় ভূমিকা নিতে চাওয়া তৃণমূলের নতুন স্লোগান হয়ে উঠেছে, ‘দিল্লি চলো’। এ বার সেই স্লোগানই দেখা গেল রাখিতে। সংবাদসংস্থা এএনআই একটি টুইটে উত্তর দমদম এলাকার যেছবি পোস্ট করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির সঙ্গে ‘দিল্লি চলো’ স্লোগান। এমন রাখির মধ্যে আবার বাংলার সংস্কৃতির অপমান দেখছেন রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তৃণমূল অবশ্য সেই সমালোচনাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। এক নেতার কথায়, ‘‘দল নয়, সমর্থকরা উৎসাহ থেকে করেছেন। এটা অন্তত একটা বিষয় স্পষ্ট করছে মানুষ কী নিয়ে আগ্রহী।’’
রাখি আর রাজনীতির মধ্যে দূরত্ব অনেক দিন ধরেই কমেছে। করোনাকালে ছোট হয়ে গেলেও ‘রক্ষা বন্ধন’ গেরুয়া শিবিরের বরাবররে বড় উৎসব। সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি-ও এই দিনটি জনসংযোগের কাজে লাগায়। সঙ্ঘ ঘরানার রাজনীতিক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ফি বছর রাখিকে ঘিরে উৎসবে মাতেন। এই বছরেও বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি রাখি নিয়ে দলীয় উৎসবে মেতেছেন।
বাদ যায়নি তৃণমূলও। বেশ কয়েক বছর ধরেই এই দিনটি রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে পালন করে শাসক দল। শহরে, গ্রামে সাধারণের হাতে রাখি বাঁধা হয়। রবিবার কলকাতায় বসবাসকারী আফগানদের হাতেও রাখি বাঁধতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের। ত্রিপুরাতেও হয়েছে তৃণমূলের রাখি বন্ধন উৎসব। এরই মধ্যে সামনে এসেছে ‘দিল্লি চলো’ রাখি।
এ নিয়ে তৃণমূলের পক্ষে কোনও মন্তব্য না করা হলেও বিজেপি-র পক্ষে সায়ন্তন বলেন, ‘‘রক্ষা বন্ধন আমাদের দেশের একটা বড় উৎসব। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গেও এর যোগ রয়েছে। তাতে রাজনীতি জুড়ে দেওয়াটা বাংলার সংস্কৃতিকে অপমান করা।’’ সায়ন্তন এমন কথা বললেও, কলকাতা-সহ রাজ্যের সর্বত্রই বাজারে এমন রাখিও দেখা গিয়েছে যাতে মোদীর ছবি রয়েছে।