প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি তথা জিটিএ প্রধান অনীত থাপা। —ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ দু’দশক পরে দার্জিলিং ও কালিম্পঙের পাহাড়ি গ্রামের দখল কার হাতে যাচ্ছে, তার প্রতীক্ষা শেষ হচ্ছে। আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে ভোট গণনার ফলাফলের গতিপ্রকৃতি দেখেই স্পষ্ট হবে ছবি। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু হচ্ছে। দার্জিলিং জেলায় দাজিলিং সদর, জোরবাংলো, কার্শিয়াং, মিরিক এবং রংলি রংলিয়ট— মোট পাঁচটি গণনা কেন্দ্র করা হয়েছে। কালিম্পঙের পেডং, গুরুবাথান, লাভা ও কালিম্পং— চারটি কেন্দ্র। আপাতত প্রতিটি কেন্দ্রেই স্ট্রংরুমের দায়িত্বে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। তবে জেলা পরিষদ না থাকায়, দ্বিস্তরীয় ব্যালট পেপারের ভোটের ফলাফলে আসতে কিছুটা দেরি হবেই বলে ধরা হচ্ছে।
দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম ও কালিম্পঙের জেলাশাসক আর বিমলা আলাদা ভাবে জানান, গণনাকেন্দ্রের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যেই ফল বেরনোর আগে, সোমবারই পাহাড়ে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন করেন প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি তথা জিটিএ প্রধান অনীত থাপা। একই আবেদন রেখেছেন জিটিএ সদস্য তৃণমূলত্যাগী বিনয় তামাং। অনীত বলেন, ‘‘ভোটের ফল বেরোলে বিজয় মিছিল, আনন্দ উৎসব হয়। এ বারও তা হবে বলেই ধরা হচ্ছে। তবে আমরা নেতা-কর্মীদের সংযত থাকতে বলেছি। রাজ্য ও জাতীয় সড়কে খেয়াল রাখতে হবে। পাহাড়ের শান্তি বজায় রাখতে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।’’
বিনয় তামাং বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের নিয়মেই কেউ জিতবেন, কেউ হারবেন। তা মেনেই আগামী দিনের পাহাড়ের গ্রামকে সাজিয়ে তোলার কাজে সবাইকে নামতে হবে। পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখতেই হবে।’’
ফলের পরে যেন কোনও অশান্তি না হয়, সে নিয়ে সতর্ক পুলিশ। আগামী ১০ দিন পাহাড়ের বিভিন্ন থানায় কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা জানান, বিগত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে পাহাড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখাটা জরুরি ছিল। নইলে, বিরোধীদের উপর অত্যাচার হবেই বলে তাঁর অনুমান।