ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০১তম জন্মদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। শনিবার বিদ্যাসাগর কলেজে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
জন্মদিনে বিদ্যাসাগরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ সামনে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারে তাঁর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গে নাম করে বিজেপিকেই খোঁচা দিয়েছেন তিনি। বিজেপি অবশ্য পাল্টা আঙুল তুলেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মের ২০০ বছর পূর্তির সূচনাতেই আঁর মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটেছিল কলেজ স্ট্রিটে। ২০১৯-এ তৎকালীন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের রোড শো ঘিরে বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষের মধ্যেই বিদ্যাসাগর কলেজে বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি ভাঙা হয়েছিল। তোলপাড় হয়েছিল বাঙালি মনন। এক বছর পরে তাঁর জন্মদিন ২৬ সেপ্টেম্বরে ফিরে এল সেই স্মৃতি। প্রসঙ্গত, বর্তমানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ দিন তাঁর প্রথম দু’টি ইংরেজি টুইটে ‘বিদ্যাসাগরজি’ বলে উল্লেখ করে তাঁর সমাজ সংস্কারের কথা স্মরণ করেন। পরে বাংলায় লেখা দু’টি টুইটের একটিতে লেখেন ‘বিদ্যাসাগর মহাশয়’।
এ দিকে, বিদ্যাসাগরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ দিন টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি লিখেছেন, ‘‘বিদ্যাসাগর আজও বাংলার ঐতিহ্য ও অনুপ্রেরণার প্রতিনিধি। ২০১৯ সালে কিছু বহিরাগত তাঁরই আবক্ষমূর্তি ভেঙে বাংলার ঐতিহ্যকে অসম্মান করেছিল।’’ বাংলা ভাষার পথপ্রদর্শক বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর বর্ণপরিচয় এবং তাঁর সমাজ সংস্কারের অংশ হিসেবে বিধবা বিবাহ প্রবর্তনের উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ টেনে আনায় পাল্টা জবাবে তৃণমূলকেই বিঁধেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘বিদ্যাসাগরের মূর্তি বিজেপি ভেঙেছে এ কথা মুখ্যমন্ত্রী এক গলা গঙ্গাজলে দাঁড়িয়ে বললেও মানুষ বিশ্বাস করবে না। বিশ্বভারতীতে কারা গেট ভেঙেছেন তা আমরা দেখেছি। কারা ভাঙাভাঙি করেন মানুষ তা জানে।’’