গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শনিবার সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্না মঞ্চে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগের রাতেই এলাকার নিরাপত্তা বাড়াতে গোটা চত্বরে নতুন ১৪টি সিসি ক্যামেরা বসায় সেক্টর ফাইভের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা। শুক্রবার গোটা রাতে সেই কাজ হয়। এ বার ওই এলাকায় নজরদারি আরও বাড়াতে চলেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির পরেও চিকিৎসকদের ধর্না কবে বা কখন উঠবে, তা নিশ্চিত নয়। সেই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য ভবনের আশপাশের রাস্তায় আরও সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত চিঠি নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই নির্দেশ এসে যেতে পারে।
আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই স্বাস্থ্য ভবন এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত পুলিশ। একের পর এক মিছিল গত এক মাসে হয়েছে ওই এলাকায়। সেই সঙ্গে টানা ধর্না চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। এই পরিস্থিতিতে অতীতে নজরদারি চালানো ক্যামেরাগুলিকেও এ বারে পুনরুজ্জীবিত করতে চায় পুলিশ। নবদিগন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার থেকেই সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হয়ে যেতে পারে। এক কর্তা বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভবন এলাকায় বরাবরই কড়া নজরদারি থাকে। আগে থাকতেই এখানে সিসি ক্যামেরা ছিল। এখন সেগুলির কর্মক্ষমতা ঠিক ঠাক রয়েছে কি না, সেটা দেখার পাশাপাশি প্রয়োজনে নতুন ক্যামেরাও লাগানো হচ্ছে। সব কাজ শেষ হলে ওই এলাকায় সিসি ক্যামেরার সংখ্যা ৬০-এর উপরে হয়ে যাবে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ এলাকায় ২৭৬টি সিসি ক্যামেরা কার্যকর রয়েছে। এখন স্বাস্থ্য ভবন এলাকাতেই অতীতে লাগানো হয়েছিল এমন ৫১টি ক্যামেরাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য ভবন চত্বর ছাড়াও সেক্টর ফাইভের নিরাপত্তা বাড়াতে আরও উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে নবদিগন্ত। সংস্থার এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা এ বার এই এলাকায় অটোমেটিক নাম্বার প্লেট রেকগনিশন ক্যামেরা বসাব। যাতে এই এলাকার নিরাপত্তা আরও বাড়বে। এই ক্যামেরার মাধ্যমে কোন নম্বরের গাড়ি কখন কোন এলাকায় যাচ্ছে, তা-ও জানা যাবে। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরাগুলি প্রতিটি গাড়ির নম্বর প্লেটের ছবি তুলে রাখবে।’’ তবে আপাতত স্বাস্থ্য ভবন এবং জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্না মঞ্চ এলাকার নিরাপত্তাতেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওই কর্তা।