প্রতীকী ছবি।
হকার সহায়তা প্রকল্প ২০২০ (এককালীন) আবেদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে পুলিশ। কারণ, পুলিশ ‘ভেরিফিকেশন’ হওয়ার পরেই এককালীন দু’হাজার টাকার অর্থসাহায্য পাবেন আবেদনকারী হকাররা। তেমনই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। সপ্তাহ তিনেক আগে হকারদের এককালীন অর্থসাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যে কলকাতা পুরসভাকে ছাপানো ৫০ হাজার আবেদনপত্র দিয়েছে পুর দফতর। আর বাকিদের কাছে আবেদনপত্রের ‘সফট কপি’ পাঠিয়েছে তারা। সেখান থেকে প্রয়োজন অনুসারে ছাপিয়ে নেবে পুরসভা। এখনও পর্যন্ত হিসাব অনুসারে, রাজ্যে ৮২ হাজার হকার এই এককালীন দু’হাজার টাকা পাবেন। তা সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে বলে মত প্রশাসনিক কর্তাদের। দ্রুত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি কার্যকরী করতে দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বিভিন্ন পুরসভা বেশ কিছু হকারকে চিহ্নিত করে পুর দফতরে নাম পাঠিয়েছিল। কিন্তু তা পুনরায় পুরসভায় পাঠিয়ে দিয়ে পুর দফতর নির্দেশ দিয়েছে, নির্দিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ করবেন হকাররা। সে ক্ষেত্রে সমন্বয়ের কাজ করবে পুরসভা। তার পরে সেই আবেদন খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট হকারের দেওয়া তথ্য সঠিক বলে নিশ্চিত করবে পুলিশ। এই সব শেষে প্রক্রিয়া শেষে এককালীন অর্থ পাবেন আবেদনকারী হকার। যা তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি চলে যাবে।
কারা এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন? পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। কোভিড-১৯-এর কারণে জীবনচর্চায় বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু এখনও সে ভাবে বিকল্প অর্থ উপার্জনের সুযোগ হয়নি। তবে কোনও সামাজিক পেনশন বা অন্য কোনও ধরনের মাসিক আর্থিক সহায়তা প্রাপকেরা আবেদন করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: অ্যাপ ক্যাব নিয়ে পরিবহণ অভিযান
আরও পড়ুন: করোনা ঠেকাতে ক্লাবগুলির দায়িত্ব অনেক: মুখ্যমন্ত্রী
আর একটি পরিবার থেকে এক জনই আবেদন করতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সেই আবেদনপত্রে নাম, ঠিকানার পাশাপাশি লিখতে হবে কোথায় আর কী ধরনের সামগ্রী বা পণ্য বিক্রি করেন সংশ্লিষ্ট হকার। সঙ্গে আধার, ডিজিটাল রেশন কার্ড, ভোটার পরিচয়পত্রের নম্বরও দিতে হবে আবেদনকারীকে।