আটক হওয়ার পর অভিযুক্ত চিকিৎসক মনোজ পালিত। নিজস্ব চিত্র।
ভুল চিকিৎসার অভিযোগে এক কোয়াক চিকিৎসককে আটক করল পুলিশ। পাণ্ডুয়ার বোসপাড়ার ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এক রোগীকে মেয়াদে উত্তীর্ণ ওষুধ দিয়েছিলেন। সেই ওষুধ খেয়ে রোগী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমনকি তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করাতে হয়।
শুক্রবার এই ঘটনা জানাজানি হতেই ওই চিকিৎসকের চেম্বার ঘেরাও করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে ওই কোয়াক চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ।
পাণ্ডুয়ার ওই চিকিৎসকের নাম মনোজ পালিত। গত ছ’মাস ধরে ওই এলাকায় চিকিৎসা করছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বোসপাড়ার বাসিন্দা মকলেসান বিবি দাঁতের যন্ত্রণার চিকিৎসার জন্য তাঁর চেম্বারে গিয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ খেয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
মকলেসানের স্বামী আওফার আলি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তাঁর স্ত্রী-র দাঁতের প্রবল যন্ত্রণা শুরু হয়। মনোজের কাছে গেলে একশ সত্তর টাকার ওষুধ দেন তিনি। কিন্তু রাতে সেই ওষুধ খেয়ে পেটের যন্ত্রণা শুরু হয় মকলেসানের। পরে রাতে অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় তাঁকে। এই খবর জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়ায় বোসপাড়ায়। ওই চিকিৎসকের চেম্বার ঘেরাও করে তাঁকে মারধোর করতে উদ্যত হন গ্রামবাসীরা। পরে গ্রামেরই কয়েকজন তাদের থামিয়ে দেন। খবর যায় পুলিশের কাছে। পরে পুলিশ এসে আটক করে মনোজকে।
রোগীর স্বামী আওফারের অভিযোগ, মনোজ মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া ওষুধ দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রীকে। ভুল চিকিৎসায় তাঁর স্ত্রী-র জীবন সংশয় হতে পারত। অবশ্য শুক্রবার সকালে আওফারের স্ত্রী অনেকটাই সুস্থ বোধ করায় তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। তবে অভিযুক্ত চিকিৎসকের উপযুক্ত শাস্তি চেয়েছেন আওফার এবং স্থানীয় বাসিন্দারা।