Chandannagar Police Commissionerate

বাঘরোল-হত্যার গুজব রুখতে ব্যবস্থা পুলিশের

চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট জানিয়েছে, ভিডিয়োটি বেশ কয়েক মাসের পুরনো। অকারণে গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:১৭
Share:

—ফাইল ছবি

ক’দিন আগে কোন্নগরের কানাইপুরের বাঁশাই কলোনি এলাকায় সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল একটি মেছোবিড়াল বা বাঘরোলের হেঁটে যাওয়ার ছবি। তারপর থেকেই একটি মৃত বাঘরোলের ভিডিয়ো ছড়িয়েছে ফেসবুকে। তাতে দাবি করা হচ্ছে, সেটি বাঁশাই কলোনিরই। তাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। তদন্তে নেমে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট জানিয়েছে, ভিডিয়োটি বেশ কয়েক মাসের পুরনো। অকারণে গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

Advertisement

কমিশনারেট সূত্রের খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় যাঁরা ওই গুজব ছড়াচ্ছেন, তাঁদের চিহ্নিত করে নোটিস দেওয়া হবে। থানায় ডেকে সতর্কও করা হবে। এরপরেও সহযোগিতা না-করলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ভুল ছবি দেখিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা এখন সাইবার অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। বিষয়টি আইনত দণ্ডনীয়। পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। এ নিয়ে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে মানুষকে।’’

তা হলে মৃত বাঘরোলের ছবি কোথা থেকে এল? পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কয়েক মাস আগে রিষড়ার বাগখালের কাছে একটি মৃত বাঘরোলকে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। সে ক্ষেত্রে কী ভাবে তার মৃত্যু হয়, তা জানা যায়নি। সেই ছবিই এখন ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরছে।

Advertisement

কিছুদিন আগে কানাইপুরে এক রট আয়রন ব্যবসায়ীর কারখানার সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল বাঘরোলের ছবি। গুজবে বাঘের আতঙ্কও ছড়িয়েছিল এলাকায়। বন দফতরের কর্তারা এসে এলাকাবাসীকে অভয় দেন। বাঘরোল কারও ক্ষতি করে না, এ কথাও জানান। প্রাণীটিকে যাতে কেউ পিটিয়ে না-মারেন, সে ব্যাপারে পুলিশ এবং বন দফতর প্রচারও চালায়।

এলাকাবাসী আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বাঘরোলটির যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তা দেখার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরে ফেসবুকে ওই ভিডিয়োকে ঘিরে এলাকাবাসীর একাংশের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। কানাইপুরের এক পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, ‘‘বাঘরোলটিকে পিটিয়ে মারার কোনও ঘটনাই ঘটেনি। গুজব রটানো হচ্ছে। আমাদের এই এলাকার জঙ্গলে শেয়াল, বেজি, বাঘরোল এবং নানা ধরনের পাখি আছে। আমরা যতটা সম্ভব তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement