কয়েক মাস আগেই কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রক জাতীয় সড়ক, এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। —ফাইল চিত্র।
ফেরারি দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য ট্র্যাফিক পুলিশ। ছুটির দিনে জাতীয় সড়কে গাড়ির গতির ‘ঝড়’ আটকাতে স্থানীয় পুলিশকে বিশেষ তৎপর হতে নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
এডিজি ট্র্যাফিক বিবেক সহায় বলেন, ‘‘বেপরোয়া গাড়ির গতি আটকাতে আগেও নির্দেশ ছিল। তবে এ বার আরও কড়া ভাবে সেটি প্রয়োগ করতে বলা হয়েছে। তাতে অন্তত অনেকের প্রাণ বাঁচবে।’’ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এক জন এসিপি কিংবা ডিএসপি-সহ ইনস্পেক্টরের নেতৃত্বে পর্যাপ্ত বাহিনী, বডি ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা, গার্ড রেল, রিফ্লেক্টর জ্যাকেট-সহ চেকিং করতে হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলি জেলা পুলিশ এবং চন্দননগর ও হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট এলাকা দিয়েই ২ ও ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে গিয়েছে। আর এই সমস্ত এলাকাতেই ছুটির দিনে অনেকে বিদেশি গাড়ি, মোটরবাইক নিয়ে নিয়ে ‘রেস’ করেন। আবার অনেকে তীব্র গতিতে গাড়ি চালিয়ে ‘লং ড্রাইভ’-এ যান। কয়েক মাস আগেই কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রক জাতীয় সড়ক, এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। শনিবার সেই মতো হাওড়া কমিশনারেটের এসিপি ট্র্যাফিক (১) শেখর রায় ও বালি ট্র্যাফিকের আইসি কল্যাণ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ১৫ জনের দল ২ ও ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগস্থলে চেকিং করে ৩৫টি গাড়ি আটক করে।