Kaliachwak

খুনের জন্য এত অস্ত্র! জঙ্গি যোগ নিয়েও প্রশ্ন

পুলিশ জানিয়েছে, দেড় মাস বাড়িতে ছিল না সে। এ ছাড়া তার কাছ থেকে প্রচুর বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতিও পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

অভিজিৎ সাহা

কালিয়াচক শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২১ ০৬:১৯
Share:

ফাইল চিত্র।

আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে খুনের উদ্দেশ্য থাকলেও, এত অস্ত্র মজুতের কারণ কি? কালিয়াচক খুন কাণ্ডে ধৃত মহম্মদ আসিফকে জেরা করে অস্ত্র মজুতের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় বাবাকে দিয়ে অস্ত্র কেনানো হয়েছিল বলে দাবি করেছিল আসিফ। তবে গল্প ফাঁদতে সে পটু। তাই বাবারপ্রসঙ্গ গল্প বলে মত তদন্তকারীদের। তাঁদের কথায়, আসিফ নিজেই অস্ত্র জোগাড় করেছিল। আসিফের সঙ্গে কি অস্ত্র কারবারিদের যোগ রয়েছে, সে প্রশ্নের জবাব খুঁজছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, আসিফকে জেরা করে শনিবার রাতেই তার দুই বন্ধু সাবির আলি ও মহম্মদ মাফুজ আলমের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় পাঁচটি সেভেন এমএম পিস্তল, ৮০ রাউন্ড কার্তুজ এবং দশটি ম্যাগজিন। সাবির ও মাফুজকে টাকার বিনিময়ে অস্ত্রগুলি রাখতে দিয়েছিল বলে মত পুলিশের। এমনকি, সাবির ও মাফুজের পরিবারের দাবি, ব্যাগের মধ্যে অস্ত্র রয়েছে সেই বিষয়েও তাদের কিছু জানায়নি আসিফ, সে-ই সাবির ও মাফুজকে ফাঁসাচ্ছে। পুলিশের দাবি, আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে খুনের ছক ছিল। অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ না থাকায় ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে জলে ডুবিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বাবা, মা, বোন, ঠাকুমাকে।

আসিফের সঙ্গে অস্ত্র কারবারিদের যোগের বিষয়টিও ভাবাচ্ছে পুলিশকে। পুলিশ জানিয়েছে, দেড় মাস বাড়িতে ছিল না সে। এ ছাড়া তার কাছ থেকে প্রচুর বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতিও পাওয়া গিয়েছে। খুনের নেপথ্যে সম্পত্তি হাতানো ছাড়াও অন্যান্য সম্ভাবনাকেও লঘু করে দেখতে নারাজ পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, আসিফের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া যন্ত্রপাতি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হবে। এ ছাড়া জবানবন্দি নেওয়া হবে আসিফের দাদা আরিফ ও মামা শিস মহম্মদেরও।

Advertisement

বুধবারও চেনা ছবি দেখা গিয়েছে কালিয়াচকের পুরাতন ১৬ মাইলে আসিফের বাড়ির সামনে। দোতলা সমান অদ্ভুত আকারে ঘরটিতে কোনও জানলা নেই। সেই ঘরেই পুঁতে রাখা হয় চার জনের দেহ। দুর্গন্ধ এড়াতেই নতুন তৈরি ঘরে জানলা তৈরি করা হয়নি। যদিও অদ্ভুত আকারের বাড়ি নির্মাণের মিস্ত্রিরও খোঁজ করছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মিস্ত্রিকেও খুন করে দেওয়া হয়েছে বলে রটে যায়। আসিফকে জেরা করে মিস্ত্রির নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। কিছু দিনের মধ্যেই সমস্ত বিষয়ই স্পষ্ট হয়ে যাবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement