মিছিল করা উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের আটকাচ্ছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র।
শিক্ষকপদে নিয়োগের দাবিতে পথে নেমে বুধবার পুলিশি বাধার মুখে পড়ে জামাকাপড় ছিঁড়েছিল টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের। স্কুলেরই বিভিন্ন স্তরের পদে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষিভে কলকাতা উত্তপ্ত হয়ে উঠল বৃহস্পতিবারেও। অভিযোগ, এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের ‘গ্রুপ সি’ ও ‘গ্রুপ ডি’ অর্থাৎ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর পদপ্রার্থীরা বিকাশ ভবনে স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে পুলিশ জোর করে তাঁদের আটক করে।
উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষকপদে নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভকারী প্রার্থীরাও এ দিন পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলামুখী মিছিল আটকে দিয়ে সেই কর্মপ্রার্থীদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
স্কুলে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর পদপ্রার্থীরা জানান, বিধাননগরের ময়ূখ ভবনের কাছ থেকে তাঁদের বিকাশ ভবনে যাওয়ার কথা থাকলেও পুলিশ তাঁদের ময়ূখ ভবন পর্যন্ত পৌঁছতেই দেয়নি। অভিযোগ, চাকরিপ্রার্থীদের জোর করে পুলিশ প্রিজ়ন ভ্যানে তোলার সময়ে দু’জন আহত হন। কর্মসূচি জানতে তাঁদের মোবাইল ফোনও পরীক্ষা করা হয়। গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের প্রেসিডেন্ট প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “যাঁকে চাকরিপ্রার্থী বলে সন্দেহ হয়েছে, পুলিশ তাঁরই মোবাইল পরীক্ষা করেছে। এমনকি কর্মসূচি জানতে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও ঢুকতে চায় পুলিশ।” এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিধাননগরের ডিসিদেবস্মিতা দাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি, মোবাইলে পাঠানো বার্তারও জবাব দেননি।
অন্য দিকে, ৩১ অগস্টের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার দাবিতে পথে নামা উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষকপদ প্রার্থীদের অভিযোগ, শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন থেকে মিছিল বেরোতেই পুলিশ তাড়া করে। পরে তাঁরা মিছিল করে মৌলালিতে পৌঁছতেই পুলিশ আটকে দেয়। অভিযোগ, বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের জোর করে সেই বাসে তুলে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার শিক্ষকপদ প্রার্থীরা জানান, তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের এ দিনের আলোচনা সদর্থক হয়েছে। এসএসসি-র ডেটা রুম খুলে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সিদ্ধার্থবাবু। এসএসসি-র চেয়ারম্যান বলেন, “এ দিন উচ্চ প্রাথমিকের প্রতিনিধিরাও দেখা করেন। ডেটা রুম খুললে আমাদের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।”