(বাঁ দিকে) রোমি দে, সুদেষ্ণা দে। প্রিয়ম্বদা দে (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে প্রণয় দে-র দাবি। মঙ্গলবার বেলার দিকেই ‘খুন’ হয়েছিলেন সুদেষ্ণা দে, রোমি দে এবং প্রিয়ম্বদা দে। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র। অথচ পাশের বাড়ির সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, মঙ্গলবার রাত ১২টা ৫১ মিনিট নাগাদ ট্যাংরার অটল শূর রোডের বাড়ি থেকে কিশোর প্রতীপ দে-কে নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন দুই ভাই প্রণয় এবং প্রসূন দে। মাঝে ওই সময়ে কী চলেছিল দে বাড়ির অন্দরে? বাড়িতে তিন মহিলার দেহ নিয়েই কি বেলা থেকে রাত পর্যন্ত কাটিয়েছিলেন বাকি তিন সদস্য? এ সব প্রশ্নের জবাব পেতে প্রণয়ের পরে প্রসূনের বয়ান পেতে চাইছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি প্রণয়ের বয়ান নেওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে যে বয়ান মিলেছে, তা থেকে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খাওয়ার পরে মঙ্গলবার সকালে ঘুম ভাঙে দুই ভাইয়ের। তার পরেই খুন করা হয় তিন মহিলা সদস্যকে। এমনটাই বলছে পুলিশের সূত্র। ওই তিন জনের ময়নাতদন্ত হয়েছিল বৃহস্পতিবার বেলায়। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ময়নাতদন্তের ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টা আগে মৃত্যু হয়েছে সুদেষ্ণা, রোমি, প্রিয়ম্বদার। এই রিপোর্টের সঙ্গে প্রণয়ের দাবি মিলে যাচ্ছে। অর্থাৎ, মঙ্গলবার বেলার দিকেই ‘খুন’ করা হয়েছে ওই তিন জনকে। প্রশ্ন উঠছে, তার পরে কী ঘটেছিল দে বাড়িতে? রাতে বাড়ি থেকে বার হওয়ার আগে কী করেছিলেন দে ভাইরা? তবে কি দেহ নিয়েই বাড়িতে ছিলেন তাঁরা? এই বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আরও নথিপ্রমাণ যাচাই করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। প্রসূন এবং প্রতীপের সঙ্গেও কথা বলতে চাইছেন। তার পরে সেই বয়ানের সঙ্গে প্রণয়ের বয়ান মিলিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশ।
বুধবার রাত ৩টের পরে অভিষিক্তার মোড়ে একটি স্তম্ভে ধাক্কা দেয় প্রণয়দের গাড়ি। তার পর থেকে দুই ভাই এবং প্রতীপ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শুক্রবার প্রসূনের একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। প্রণয়ের সঙ্গে পুলিশ কথা বললেও তাঁর সঙ্গে এখনও কথা বলতে পারেনি। তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরে জট অনেকটা কাটতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীদের একাংশ।