Tangra Unnatural Death

প্রণয় ও কিশোর প্রতীপকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হচ্ছে, চিকিৎসা হবে অন্যত্র, হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ

হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রণয় এবং প্রতীপের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আর তাদের বাইপাসের ধারের হাসপাতালে রাখার প্রয়োজন নেই। ফলে বাবা এবং ছেলেকে অন্যত্র পাঠানো হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:০৬
Share:
বাইপাসের ধারের হাসপাতাল থেকে ছাড়া হচ্ছে প্রণয় দে এবং তাঁর পুত্র প্রতীপকে।

বাইপাসের ধারের হাসপাতাল থেকে ছাড়া হচ্ছে প্রণয় দে এবং তাঁর পুত্র প্রতীপকে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

প্রণয় দে এবং কিশোর প্রতীপ দে-কে শনিবারই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বাইপাসের ধারের হাসপাতাল থেকে। অন্যত্র তাঁদের চিকিৎসা হবে। তবে এখনই ছুটি পাচ্ছেন না ট্যাংরার দে পরিবারের আর এক সদস্য প্রসূন দে। তাঁকে আপাতত ওই হাসপাতালেই রাখা হচ্ছে। দুই ভাইকেই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের। প্রণয়ের ক্ষেত্রে শনিবার তা সম্ভব হবে কি না, এখনও স্পষ্ট নয়।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রণয় এবং প্রতীপের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আর তাদের বাইপাসের ধারের হাসপাতালে রাখার প্রয়োজন নেই। ফলে বাবা এবং ছেলেকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে শনিবার সকাল থেকে। হাসপাতালে রয়েছে পুলিশও। তাঁদের অন্য কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। সেখানে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন তদন্তকারীরা।

বুধবার ভোরে প্রণয়দের গাড়ি ধাক্কা খায় বাইপাসের ধারে অভিষিক্তা মোড়ের পিলারে। গাড়িতে ছিল প্রণয়ের পুত্র ১৪ বছরের প্রতীপও। সেই দুর্ঘটনায় তিন জনের শরীরেই একাধিক হাড়গোড় ভেঙে গিয়েছে। তাঁদের আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। ট্যাংরার বাড়িতে প্রণয় এবং প্রসূনের স্ত্রীর শিরা কাটা দেহ উদ্ধার হয় সে দিনই। পাওয়া যায় প্রসূনের কন্যা ১৪ বছরের প্রিয়ম্বদার দেহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, তিন জনকেই খুন করা হয়েছে। এই তিন খুনের বিষয়ে দুই ভাইকে পূর্ণাঙ্গ জিজ্ঞাসাবাদের ভাবনা রয়েছে পুলিশের। এখনও সেই সুযোগ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, আর্থিক সমস্যার কারণে তাঁরা সপরিবারে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পায়েসে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খেয়েছিলেন। কিন্তু দুই ভাইয়ের শরীরে ওষুধের প্রভাব পড়েনি। পুলিশের অনুমান, তার পরেই অচেতন অবস্থায় দুই বধূর হাতের শিরা এবং গলার নলি কেটে দেওয়া হয়। কিশোরীর আগেই বিষক্রিয়ার জেরে মৃত্যু হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement