Tangra Unnatural Death

স্ত্রী আর বৌদিকে কি খুন করেছিলেন প্রসূন? ট্যাংরার ঘটনায় দাদা প্রণয়ের দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ

বুধবার প্রণয় এবং প্রসূনের স্ত্রীর শিরা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। পাওয়া যায় প্রসূনের কন্যা ১৪ বছরের প্রিয়ম্বদার দেহও। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, তিন জনকেই খুন করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪২
Share:
ট্যাংরার ঘটনায় প্রণয়ের দাবির সত্যতা কতখানি, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ট্যাংরার ঘটনায় প্রণয়ের দাবির সত্যতা কতখানি, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

ট্যাংরায় দে পরিবারের দুই বধূকে খুন করেছিলেন প্রসূন দে। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে এমনই দাবি করেছেন দাদা প্রণয় দে। প্রণয়ের দাবি মোতাবেক, নিজের স্ত্রী রোমিকে তো বটেই দাদা প্রণয়ের স্ত্রী সুদেষ্ণাকেও খুন করেন প্রসূন। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রণয়ের এই দাবির সত্যতা কতখানি, তা যাচাই করে দেখছেন তদন্তকারীরা। আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ-সহ পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

গত বুধবার ট্যাংরার বাড়িতে প্রণয় এবং প্রসূনের স্ত্রীর শিরা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। পাওয়া যায় প্রসূনের কন্যা ১৪ বছরের প্রিয়ম্বদার দেহও। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, তিন জনকেই খুন করা হয়েছে। এই তিন খুনের বিষয়ে দুই ভাইকে পূর্ণাঙ্গ জিজ্ঞাসাবাদের ভাবনা রয়েছে পুলিশের। ঘটনার পুনর্নির্মাণও করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এখনও সেই সুযোগ পাওয়া যায়নি। কারণ, প্রণয় এবং তাঁর কিশোর-পুত্র প্রতীপ শনিবার বাইপাসের ধারের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রসূন।

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, প্রণয় এবং প্রতীপের চিকিৎসা অন্যত্র করানো হবে। দুই ভাইকেই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা রয়েছে পুলিশের। প্রণয়ের ক্ষেত্রে শনিবার তা সম্ভব হবে কি না, এখনও স্পষ্ট নয়।

Advertisement

বুধবার ভোরে প্রণয়দের গাড়ি ধাক্কা খায় বাইপাসের ধারে অভিষিক্তা মোড়ের একটি পিলারে। গাড়িতে প্রণয় ছাড়াও ছিলেন প্রসূন এবং প্রতীপ। দুর্ঘটনায় তিন জনের শরীরেই একাধিক হাড়গোড় ভেঙে যায়। তাঁদের আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রণয় এবং প্রসূন জানান, আর্থিক সমস্যার কারণে তাঁরা সপরিবারে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পায়েসে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খেয়েছিলেন। কিন্তু দুই ভাইয়ের শরীরে ওষুধের প্রভাব পড়েনি। পুলিশের অনুমান, তার পরেই অচেতন অবস্থায় দুই বধূর হাতের শিরা এবং গলার নলি কেটে দেওয়া হয়। কিশোরী প্রিয়ম্বদার আগেই বিষক্রিয়ার জেরে মৃত্যু হয়েছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement