পুলিশের গুলিতে আহত পুলিশকর্মী বিশ্বজিৎ মাইতি (বাম দিকে) ও অরিন্দম হালদার। নিজস্ব চিত্র
দুষ্কৃতী ধরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির এক অফিসার-সহ তিন পুলিশ কর্মী। তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। তিন জনই আপাতত কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় মূল দুই অভিযুক্তের মধ্যে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য এক জনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি বাকিদের খোঁজে এলাকায় পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ গুলি চালনার এই ঘটনা ঘটে সন্দেশখালি থানা থেকে ৫ কিলোমিটারদূরের খুলনা গ্রাম। সেখানে বিদ্যাধরী নদীর পাশে রজনীঘাট বৌঠাকুরানির মাঠ এলাকায় পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোড়া হয়। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হন তিন জন। তাঁদের মধ্যে এক জন সিভিক ভলান্টিয়ার এই মুহূর্তে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার। কালীপুজো উপলক্ষে বৌঠাকুরানির মাঠে মেলা বসে। সেখানে বসে জুয়ার ঠেকও। সেখানেই গন্ডগোল বাধে। দুষ্কৃতীদের মধ্যে গুলি-বোমা চলে বলেও অভিযোগ। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে বিধান সর্দার এবং কেদার সর্দারের নাম উঠে আসে পুলিশি তদন্তে। এলাকায় তারা তৃণমূল আশ্রিত বলেই পরিচিত। ওই দু’জনকে ধরতেই গতকাল রাতে সন্দেশখালি থানার সাব ইনস্পেকটর অরিন্দম হালদার, সিভিক ভলান্টিয়ার বিশ্বজিৎ মাইতি এবং ভিলেজ পুলিশ বাবুসোনা সিংহ-সহ পুলিশের একটা দল যায় ওই গ্রামে।
আরও পড়ুন:ছট পুজো করবই! গেট ভেঙে রবীন্দ্র সরোবরে ঢুকে পড়লেন একদল
আরও পড়ুন:মুঘলদের মতো হুমকি দিচ্ছে বিজেপি, তোপ দাগল শিবসেনা
গ্রামে ঢোকার পরেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজি ও গোলাগুলি চলতে শুরু করে বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে পালিয়ে আসার চেষ্টা করেন বিশ্বজিৎবাবুরা। কিন্তু গ্রামের মুখে তাঁদেরকে ঘিরে ফেলেন গ্রামবাসীদের একটা অংশ। অভিযোগ, এর পরেই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ওই তিন পুলিশ কর্মীই গুলিবিদ্ধ হন। পরে পুলিশের একটা বড় বাহিনী গিয়ে তাঁদের ওখানে থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে। রাতেইতাঁদের সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক না থাকার কারণে পুলিশকর্মীদের নিয়ে যাওয়াহয় বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে। সেখানেই ওই তিন জনের চিকিৎসা চলছে। তিন জনেরইআঘাত গুরুতর। তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বসিরহাট পুলিশ জেলার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সিভিক ভলান্টিয়ার বিশ্বজিত মাইতির অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। বাকি দু’জনের জখম গুরুতর। ইতিমধ্যেই আমরা দু’জনকে গ্রেফতার করেছি। ধৃতদের নাম কেদার সর্দার এবং স্বপন সর্দার। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’