আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের পুকুর থেকে প্রসেনজিৎ সিংহের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। —ফাইল চিত্র।
আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের পুকুর থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রথমে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল বিশ্বজিৎ ও ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল নামে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ইন্দ্রজিৎকে আপাতত ছেড়ে দিলেও বিশ্বজিৎকে গ্রেফতার করে ওই ঘটনায় অন্য এক জনের খোঁজখবর শুরু করেছে লালবাজার।
এক শীর্ষ পুলিশকর্তা মঙ্গলবার জানান, বিশ্বজিতের সঙ্গে ওই ঘটনায় মালদহেরই অন্য এক বাসিন্দা জড়িত বলে অভিযোগ। তাঁর খোঁজ চলছে। ওই ব্যক্তি প্রতারণার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বা মধ্যস্থতাকারী হতে পারেন। বিশ্বজিৎকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রতারণার দু’টি নতুন ধারা যোগ করা হয়েছে।
মৃত প্রসেনজিৎ সিংহের পরিবারের অভিযোগ, ওই যুবককে পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ইন্দ্রজিৎ ও বিশ্বজিৎ তিন দফায় তিন লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু পুলিশ তদন্তে জেনেছে, ইন্দ্রজিৎ কোনও টাকা নেননি। টাকা নেন ডাককর্মী বিশ্বজিৎ। তিনি জেরায় টাকা নেওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, ৯০ শতাংশ টাকা প্রসেনজিৎকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও মৃতের বোন পূজা সিংহ বলেন, ‘‘ইন্দ্রজিৎ এক লক্ষ এবং বিশ্বজিৎ মোট দু’লক্ষ টাকা নিয়েছিল। কোনও টাকাই ফেরত দেওয়া হয়নি। পুলিশে কর্মরত এক জনের নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’’
শনিবার বডিগার্ড লাইন্সের ভিতরে একটি পুকুরে প্রসেনজিতের মৃতদেহ পাওয়া যায়। খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় ওয়াটগঞ্জ থানায়। তবে লালবাজারের দাবি, এটি খুনের ঘটনা নয়। এটি দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যার ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। তবে প্রসেনজিৎ জলে পড়ে গিয়েছিলেন, নাকি তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, তদন্তকারীদের কাছে সেটা এখনও পরিষ্কার হয়নি। ঘটনার রাতে প্রসেনজিতের মোবাইল থেকে তাঁর বান্ধবীর মোবাইলে বেশ কয়েক বার ফোন করা হয়েছিল বলে তদন্তকারীরা জানান। সে-রাতে ঠিক কী কথা হয়েছিল, তা জানতে প্রসেনজিতের বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে লালবাজারের খবর।