ফুটেজে দেখা গিয়েছে মজদুর ভবনের সামনে মুখে গামছা বেঁধে ঘুরছে দুষ্কৃতীরা। জগদ্দলে।
ভাটপাড়ায় পুলিশের উপরে হামলার ঘটনায় পুলিশ আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হল। রবিবারের গোলমালে সাংসদ অর্জুন সিংহের বাড়ি থেকে হামলা চালানোর সিসি ক্যামেরার যে ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে, তার ভিত্তিতে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে পুলিশ। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (জোন ১) অজয় ঠাকুর বলেন, ‘‘ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই সময় কার কী ভূমিকা ছিল আমরা দেখছি। এ ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপই করা হবে।’’
পুলিশি ধরপাকড় চললেও গোলমাল অবশ্য থামেনি ভাটপাড়া-জগদ্দলে। সোমবার রাতে জগদ্দলের গারুলিয়ায় টিএমসিপির এক নেতার বাড়িতে হামলা চালায় এক দল যুবক। বাড়ি লক্ষ্য করে তারা গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির লোকেরাই এই হামলা চালিয়েছে। বিজেপি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের পাল্টা অভিযোগ, মঙ্গলবার বীজপুরে তাদের একটি পার্টি অফিস পুলিশ নিয়ে গিয়ে দখল করেছে তৃণমূল।
মঙ্গলবার কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। হাসাপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি বেলঘরিয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। সেখানে তাঁর দলের কয়েক জন চিকিৎসাধীন। তাঁদের দেখে অর্জুন ভাটপাড়ায় ফেরেন।
অর্জুন বলেন, ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করব। আমাকে খুন করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীই পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।’’ নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘দেশের যে কোনও মানুষের অধিকার আছে, যে কারও বিরুদ্ধে এফআইআর করার। রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানেন, অর্জুনকেও জানেন।’’
পুলিশের উপরে হামলার ঘটনায় অর্জুন এবং তাঁর বিধায়ক পুত্র পবন সিংহের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, সেই ঘটনার তদন্ত চলছে। যথা সময়ে পদক্ষেপ করা হবে। তৃণমূল জানিয়েছে, রবিবার রাতে গারুলিয়ার টিএমসিপি নেতা শুভরঞ্জন সিংহের বাড়িতে হামলা চালায় এক দল যুবক। তাঁর মা বাধা দিলে মারধর করা হয়। তাঁর সোনার হার ছিনতাই করে ওই দুষ্কৃতীরা। ভাঙচুর চলে বাড়িতে। শুভরঞ্জনের খোঁজে ফের
সোমবার রাতে বাড়িতে হামলা হয়। না পেয়ে শূন্যে দু’রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই সময় স্থানীয়েরা তাদের তাড়া করেন। মোড়ের মাথায় জনতা তাদের আটকানোর চেষ্টা করলে আরও এক রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় তারা।