শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।
সন্দেশখালি যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হল শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপির বাকি বিধায়কদের। সন্দেশখালি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার আগে বাসন্তী হাইওয়েতেই বিজেপি বিধায়কদের গাড়ি আটকে দিল পুলিশ। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, ভয় পেয়ে আটকানো হয়েছে। তিনি এবং বাকি বিধায়কেরা বাসন্তী হাইওয়েতেই বসে থাকবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন। ভয়ে থরথর করে কাঁপছেন। তাই সন্দেশখালি যাওয়ার ৬০ কিলোমিটার আগেই আটকানো হল। এখানে ১৪৪ ধারা নেই। কেন আটকানো হল বুঝতে পারছি না। আমরা এখানেই বসে থাকব।’’
শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘আমরা শান্ত ভাবে কথা বলতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু তার আগেই আটকে দেওয়া হল। সিপিএমকে ঢুকতে দেওয়া হয়। রাজ্যপালকে ঢুকতে দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের ঢুকতে দেওয়া হল না।’’
সোমবার বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করার পর বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ একটি বাসে চেপে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন শুভেন্দুরা। তাঁরা জানিয়েছিলেন, ১৪৪ ধারা ভেঙে সন্দেশখালিতে প্রবেশ করবেন না তাঁরা। শুধু মাত্র বিজেপির চার জন মহিলা বিধায়ক সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চাইবেন। তবে সন্দেশখালি ঢোকার অনেক আগেই তাঁদের আটকাল পুলিশ।
উল্লেখ্য, সোমবারই বিধানসভা থেকে বিরোধী দলনেতা-সহ ছয় বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সাসপেন্ড হওয়া ছয় বিজেপি বিধায়ক হলেন— শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, বঙ্কিম ঘোষ, তাপসী মণ্ডল, মিহির গোস্বামী এবং শঙ্কর ঘোষ। চলতি বছরের রাজ্য বাজেট অধিবেশনে আর এক দিনও অংশ নিতে পারবেন না তাঁরা।
সোমবার ‘সন্দেশখালি সঙ্গে আছি’ লেখা টিশার্ট পরে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে ঢোকেন বিজেপি বিধায়কেরা। তাতে আপত্তি জানান স্পিকার। এর পরেই বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি বিধায়কেরা। স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি হুইস্ল বাজাতে শুরু করেন। এর পর বিধানসভা থেকে বিজেপি বিধায়কেরা ওয়াকআউট করেন। বিধানসভার মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ বিজেপির পুরো পরিষদীয় দলকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। পরে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব সংশোধন করে শুভেন্দু-সহ ৬ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। ওই ছ’জনের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুললে সাসপেন্ড করেন স্পিকার।