আড়িয়াদহের তালতলা ক্লাব সিলের দৃশ্য। নিজস্ব চিত্র
এক সপ্তাহও হয়নি, পুলিশ সিল করে দিয়েছিল আড়িয়াদহের তালতলা ক্লাব। গত শুক্রবার জয়ন্ত সিংহ ও তাঁর শাগরদদের নিয়ে ক্লাবে গিয়েছিল পুলিশ। ক্লাবে কী চলত, সেই ঘটনার পুনর্নির্মাণের পর ক্লাব সিল করা হয়েছিল। তার চার দিনের মধ্যেই এ বার ক্লাবের দরজার সিল ভাঙল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ গিয়ে আড়িয়াদহের ওই ক্লাবের দরজার সিল আগুন দিয়ে গলিয়ে দরজা খুলে দেয়। এর পর বুধবার সকালে পুলিশ আবার তালতলা ক্লাব সিল করে দেয়। কেন হঠাৎ সিল ভাঙা হল, আবার কেনই বা নতুন করে সিল করা হল? মঙ্গলবারের রাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
যদিও পুলিশ জানাচ্ছে, ক্লাব থেকে কী কী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেই সিজ়ার লিস্ট বানাতে ও ঘটনাস্থল আরও একবার দেখতেই সেখানে গিয়েছিল পুলিশ। তবে সিল ভাঙা হলেও, ওই ক্লাব অরক্ষিত অবস্থায় ছিল না বলেই দাবি পুলিশের। তাদের বক্তব্য, যতক্ষণ সিল ভাঙা অবস্থায় ছিল, ততক্ষণ পুলিশকর্মীরা সেখানে ছিলেন। কাজ হয়ে যাওয়ার পর ওই তালতলার ওই ক্লাব পুনরায় সিল করে দেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবারই আড়িয়াদহকাণ্ডে ধৃত জয়ন্ত সিংহকে নিয়ে তালতলা ক্লাবে গিয়েছিল পুলিশ। এই ক্লাবকে কেন্দ্র করে বিস্তর অভিযোগ উঠে এসেছে। স্থানীয় লোকজনের কাছে এই ক্লাব জয়ন্তের ‘আদালত’ নামেই পরিচিত। সূত্রের খবর, এই ক্লাবেই নাকি বসত জয়ন্তর ‘আদালত’। ক্লাবে ডেকে একাধিক বার বিভিন্ন ব্যক্তিকে মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
আড়িয়াদহের রাস্তায় ফেলে মা-ছেলেকে মারধরের অভিযোগে জয়ন্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই ঘটনার পর, আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) । এক যুবক ও যুবতীকে মারধরের ভিডিয়ো বিতর্কে জয়ন্তের নাম উঠে আসে, সেই ঘটনাটিও ঘটেছিল এই তালতলা ক্লাবেই।
গত শুক্রবার জয়ন্ত ও তাঁর শাগরেদদের নিয়ে তালতলার ওই ক্লাবে গিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। ক্লাবের কোথায় কী চলত, জয়ন্তরা ক্লাবকে কী ভাবে ব্যবহার করতেন, সেই সব বিষয় পুনর্নির্মাণ করতেই তালতলা ক্লাবে গিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। এর পর শুক্রবারই সেই ক্লাবের দরজা সিল করে দেওয়া হয়েছিল। বলে দেওয়া হয়েছিল, পুলিশের অনুমতি ছাড়া ক্লাবে কেউ ঢুকতে পারবেন না। এরই মধ্যে মঙ্গলবার বেলঘরিয়া থানার পুলিশ গিয়ে একবার সিল খোলে ক্লাবের দরজার, তার পর বুধবার পুনরায় সিল করে দেওয়া হয়।