পশ্চিমবঙ্গ পুর-স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের মিছিল।
পুর-স্বাস্থ্যকর্মীদের মিছিল রাস্তাতেই আটকে দিল পুলিশ। লাঠি চালিয়ে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করার পরে গ্রেফতারও করা হল ৭০ জনকে। ‘দোষী’ পুলিশকর্মীদের শাস্তির ব্যবস্থা না হলে টিকাকরণের কাজ বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুর-স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়ন।
বেতন বৃদ্ধি, স্থায়ীকরণ, অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধার দাবিতে মঙ্গলবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে মিছিল করে যাওয়ার ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ পুর-স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়ন। এই মাসেই পুর-স্বাস্থ্যকর্মীরা এক বার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দফতরে যেতে না পেরে রাস্তায় অবস্থানে বসেছিলেন। পুলিশ সে দিন আশ্বাস দেয়, ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের দাবি-দাওয়া সংক্রান্ত ঘোষণা হবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা না হওয়ায় এ দিন হাজরা মোড়ে বিক্ষোভ-জমায়েত করে মিছিল করে কালীঘাটের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন পুর-স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ লাঠি চালায়। গুরুতর আহত হন রিষড়া পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী আল্পনা দাস। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক কেকা পাল, পৌলমী করঞ্জাই-সহ ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ওই ইউনিয়নের রাজ্য সভানেত্রী সুচেতা কুণ্ডুর দাবি, ‘‘পুর-স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে বর্বর আক্রমণের জন্য দায়ী পুলিশ অফিসারদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে। রাজ্য জুড়ে প্রতি পুরসভায় আজ, বুধবার আমরা প্রতিবাদ দিবস পালন করব।’’