পুলিশের নাম করে প্রৌঢ়াকে ভুয়ো ফোন, উদ্বেগে মৃত্যু! গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
‘পুলিশের’ ফোন পেয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল প্রৌঢ়ার। পুলিশের নাম করে তাঁকে ভুয়ো ফোন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই প্রৌঢ়ার কন্যার বিষয়ে হুমকি দিয়ে কিছু কথাও বলা হয়। যা শুনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তিনি। তার পরেই প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার। এই ঘটনার পর নিকটবর্তী থানায় অভিযোগও দায়ের করেছে তারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মালতি বর্মা (৫৮)। তিনি পেশায় শিক্ষিকা ছিলেন। আগরার একটি সরকারি স্কুলে পড়াতেন। সম্প্রতি তাঁর হোয়াট্অ্যাপে একটি ফোন আসে। যিনি ফোন করেছিলেন, তাঁর প্রোফাইলে পুলিশের পোশাক পরা ছবি দেওয়া ছিল বলে অভিযোগ। নিজেকে পুলিশ বলে পরিচয়ও দিয়েছিলেন তিনি। প্রৌঢ়াকে জানিয়েছিলেন, মধুচক্র থেকে তাঁর কন্যা ধরা পড়েছেন। এক লক্ষ টাকা দিলে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেবে। সে ক্ষেত্রে তরুণীর বিরুদ্ধে কোনও মামলাও রুজু করা হবে না।
মৃতার পুত্র জানান, তাঁর মাকে ফোনে বলা হয়েছিল, পরিবারের সম্মানের কথা মাথায় রেখেই পুলিশ তরুণীকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু তার জন্য জমা দিতে হবে এক লক্ষ টাকা। এই ফোন পাওয়ার পর থেকেই প্রৌঢ়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। অতিরিক্ত চিন্তা করতে শুরু করেন তিনি। খবর দেন পুত্রকে।
বাড়ি থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই তরুণী কলেজে নিরাপদেই রয়েছেন। যে ফোনটি এসেছে, তা যে ভুয়ো, সে কথা এর পর স্পষ্ট হয়ে যায়। প্রৌঢ়াকে তা জানানো হয়েছিল। বার বার আশ্বস্ত করা হয়েছিল তাঁকে। তাঁর কন্যা কলেজ থেকে বাড়িতেও ফিরে আসেন। কিন্তু প্রৌঢ়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। কিছু ক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকেরা জানান, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
সহকারী পুলিশ কমিশনার মায়াঙ্ক তিওয়ারি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘পুলিশের নাম করে কেউ বা কারা প্রৌঢ়াকে ফোন করেছিলেন। তাতে তিনি ভয় পেয়ে যান এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। কন্যা বাড়ি ফিরে আসার ১৫ মিনিটের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবারের ঘটনা। বৃহস্পতিবার ওঁরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কোথা থেকে ফোন এসেছিল, আমরা খতিয়ে দেখছি।’’