বসিরহাট পুলিশ সুপার দফতর অভিযান সিপিআইয়ের। —নিজস্ব চিত্র।
সন্দেশখালি-কাণ্ডে সিপিআইয়ের বসিরহাটের পুলিশ সুপার দফতর অভিযান ঘিরে গোলমাল বাধল। শাসক দলের মূল অভিযুক্ত শেখ শাহাজাহান, শিবু হাজরা-সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও বাম নেতা, প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার-সহ নির্দোষ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে ওই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল সিপিআই। বসিরহাট টাউন হলের সামনে জমায়েত করে সংগ্ৰামপুরের দফতরে যাওয়ার আগে বোর্ড ঘাটের মুখে পুলিশ বাহিনী ব্যারিকেড করে সিপিআইয়ের মিছিল আটকে দেয়। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি চালায় বলে সিপিআইয়ের অভিযোগ। কয়েক জন সিপিআই কর্মী আহত হন, আটকও করা হয় কয়েক জনকে। সিপিআইয়ের কর্মী-সমর্থকেরা সেখানেই বসে পড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ওখানেই সিপিআই নেতাদের কাছ থেকে দাবিপত্র নেয়। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য গৌতম রায়, প্রাক্তন বিধায়ক আনন্দ মণ্ডল, জেলা সম্পাদক শৈবাল ঘোষ, মহিলা সংগঠনের নেত্রী ভ্রান্তি অধিকারী, এআইএসএফের রাজ্য সভাপতি সৌমেন হালদার, ‘ইন্ডিয়ান ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র রাজ্য সম্পাদক রাজনীল মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
তখন পুলিস এসে সিপিআইয়ের মূল দাবি সনদ পুলিস সিপিআইয়ের নেতাদের থেকে গ্ৰহন করেন।সিপিআইকর্মীরা বসিরহাট টাউনহলে জমায়েত হন।ওখান থেকে মিছিল শুরু হয়।সিপিআইয়ের দাবি ছিল অবিলম্বে প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারসহ সকল নির্দোষ নাগরিকদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে,এলাকায় শান্তি ও সন্ত্রাসমক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সেখ শাহজাহান,শিবু হাজরা সহ সকল দুস্কৃতিকারীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে, অবিলম্বে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করতে হবে,মহিলা কমিশনকে ক্যাম্প করে যে সকল মহিলা শ্লীলতাহানির বিষয়ে অভিযোগ জানাতে চান তাঁদের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে সকল অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে,এলাকার সর্বত্র দিনে রাতে পুলিসী টহল অব্যাহত রাখতে হবে,এলাকার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের উপযুক্ত নিরাপত্তা দিয়ে তারা যাতে নিশ্চিন্তে পরীক্ষা দিতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে,সন্দেশখালি -১,সন্দেশখালি-২ ব্লকের সর্বত্র গণতান্ত্রিক কাজকর্ম করার উপযুক্ত পরিবেশ সরকার -পুলিস প্রশাসনকে গ্যারান্টী করতে হবে।মিছিল যায় ইন্টিন্ডা রোড,শরৎ বিশ্বাস রোড,মার্টিন রোড,কোট,জলেখানার সামনে মিছিল বদর তলায় যায়।ওখানে পুলিস মিছিল আটকে সেখানে বসে সিপিআইকর্মীরা তাঁদের দাবি নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে।তার পরেই বিশাল পুলিস এসে লাঠিচার্জ করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়।