শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল ছবি।
আর জি কর-কাণ্ডকে সামনে রেখে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ নামে একটি সংগঠন যে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে, তা নিয়ে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন ভুয়ো প্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আরও অভিযোগ, পুলিশ ‘টুল কিট’ তৈরি করে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এই অভিযোগকে ‘মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
এক্স হ্যান্ড্লে শুভেন্দু শনিবার লেখেন, ‘সমাজমাধ্যমে ২৭ তারিখের নবান্ন অভিযানের বার্তা ‘ভাইরাল’ হতেই হাঁটু কেঁপে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। ছাত্র সমাজের অরাজনৈতিক নবান্ন অভিযানের বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই ওঁর স্নায়ুর চাপ হ্রাস করতে পুলিশ মাঠে নেমে পড়েছে।’ তাঁর অভিযোগ, ২৭ অগস্টের নবান্ন অভিযান নিয়ে যাতে ভুল খবর ছড়ানো যায়, সে জন্য রাজ্যের জেলায়-জেলায় থানাগুলি থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে ‘ভুয়ো ফেসবুক প্রোফাইল’ খোলানো হচ্ছে। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘সিভিকদের তথ্য দিয়ে সিম কার্ড তোলা হয়েছে। ওসি-রা টাকা দিয়েছেন ‘রিচার্জ’ করানোর জন্য। তার পরে সব ‘ফেক’ নাম দিয়ে ‘প্রোফাইল’ খোলানো হচ্ছে। প্রতিটি জেলার সব জায়গাতেই রাজ্য পুলিশের ডিজি-র নির্দেশে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই কাজ চলছে।’ শুভেন্দুর আরও দাবি, নীচের তলার পুলিশের একটা বড় অংশ জনবিরোধী কার্যকলাপের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে নেই। সেই সঙ্গে, ভুয়ো খবরে বিভ্রান্ত না হয়ে বিচারের দাবিতে পড়ুয়া ও নাগরিক সমাজের আন্দোলন যাতে এগিয়ে যায়, সেই আর্জিও জানিয়েছেন শুভেন্দু।
যদিও শুভেন্দুর বক্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, “অভিযোগ শুধু মিথ্যা নয়, নবান্ন অভিযানের পরিকল্পিত প্রচার। বিজেপির পতাকা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এখন ছাত্র সমাজের নামে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। বিচার চাইতে সিবিআইয়ের কাছে যেতে হবে।”
নবান্ন অভিযানে রাজনীতির রং সরিয়ে রেখে শুভেন্দু ‘ব্যক্তিগত’ ভাবে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যদিও এ দিন ওই কর্মসূচি থেকে তাঁদের দূরত্ব বোঝাতে গিয়ে কারও নাম না করে বলেছেন, “অরাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে রাজনীতির লোকেদের দূরে থাকাই উচিত।” তবে তিনি এ-ও জানান, আন্দোলনকারীদের চিকিৎসা এবং আইনি সহায়তা দিতে তাঁরা প্রস্তুত।