প্রতীকী ছবি।
এ বার কি পুলিশি পাহারায় পোস্টাল ব্যালট যাবে বাড়ি বাড়ি? অন্তত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভাবনা তেমনই। সূত্রের খবর, বিষয়টি চূড়ান্ত না হলেও এমনটাই আলোচনা
শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কলকাতা পুলিশের আধিকারিক ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে মঙ্গলবার আলিপুরে পোস্টাল ব্যালট নিয়ে বৈঠক করেন দক্ষিণের ডিইও (ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার)। সেখানেই পোস্টাল ব্যালট এ বার বাড়িতে কী ভাবে পৌঁছে দেওয়া যাবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। ভোটের ঠিক আগে বুথ লেভেল অফিসারেরা ওই ব্যালট নিয়ে যখন ভোটারের বাড়ি যাবেন, সেই সময়ে পুলিশি পাহারা কেমন থাকতে পারে তা নিয়েও কথা হয়েছে। সূত্রের খবর, পোস্টাল ব্যালট পাহারায় যে পুলিশকর্মীরা থাকবেন, তাঁরা হবেন সশস্ত্র। তবে কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, এই মুহূর্তে সব কিছুই আলোচনার স্তরে রয়েছে। নির্বাচন কমিশন যেমন চাইবে, তেমনই হবে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, আসন্ন বিধানসভা ভোটে এ বছরই প্রথম ৮০ বছর ও তার বেশি বয়সি নাগরিকেরা পোস্টাল ব্যালটের সুবিধা পাবেন। একই সুবিধা পাবেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এবং প্রতিবন্ধীদের একটি অংশও। এক কর্তা জানান, এ দিনের বৈঠকে পোস্টাল ব্যালটের সুবিধাপ্রাপ্তদের তালিকায় আলোচনা হয়েছে ওই সময়ে কোয়রান্টিনে থাকা ভোটারদের নিয়েও। তবে তাঁদের ক্ষেত্রে মেডিক্যাল অফিসারের সম্মতি প্রয়োজন হবে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এর আগে বিহার ভোটের সময়ে একই পদ্ধতি নেওয়া হয়েছিল। এ রাজ্যে এ বারই প্রথম।
কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পরে পোস্টাল ব্যালটে কারা ভোট দিতে পারবেন, তা নির্দিষ্ট করার কাজ শুরু করা হবে। তার পরেই বুথ লেভেল অফিসারেরা
স্ক্রুটিনি করে পোস্টাল ব্যালটের ভোটারদের তালিকা তৈরি করবেন। সূত্রের খবর, প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে ভোটের দু’দিন আগে পর্যন্ত, এই সময়সীমার মধ্যে ভোটারের
বাড়িতে পোস্টাল ব্যালট নিয়ে যাবেন বুথ লেভেল অফিসারেরা। তখন যাতে ব্যালট ছিনতাই না হয়, তাই সঙ্গে সশস্ত্র পুলিশি প্রহরা থাকবে। অফিসারেরা একটি ঘেরা জায়গায় ভোটারের ছাপ দেওয়ার ব্যবস্থা করে ওই ব্যালট সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রেখে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন।
অন্যান্য বছর জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ভোটারেরা পোস্টাল ব্যালটের সুবিধা পেতেন। সে ক্ষেত্রে পোস্টালের মাধ্যমেই ব্যালট সংগ্ৰহ করে তা ছাপ মেরে পাঠাতে হত রিটার্নিং অফিসারকে। এ বার পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থায় বিশেষ ক্ষেত্রে অফিসারেরা পৌঁছে যাবেন দোরগোড়ায়। মূল পার্থক্য সেখানেই।