হোটেলে হোটেলে তল্লাশি পুলিশের। নিজস্ব চিত্র।
করোনা আবহে কড়াকড়ি শুরু হয়েছিল আগেই। টিকা না নিয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে দিঘা-ওড়িশা সীমান্তে শুরু হয়েছিল ধরপাকড়। এ বার প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে নতুন করে সাবধানতা সারা দিঘা উপকূলে। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে কোনও রকম নাশকতামূলক কাজকর্ম যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলা-ওড়িশা সীমান্ত এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র দিঘায় টহলদারি চালায় পুলিশ। চলে নাকা চেকিংও। একই সঙ্গে পর্যটকদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে হোটেলগুলিতে যায় পুলিশ। এমনকি হোটেল মালিকদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গিয়েছে পুলিশকে। পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, বিনা পরিচয়ে কোনও পর্যটককে হোটেলে রাখা যাবে না। পর্যটন শহরে যাতে নাশকতামূলক ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে এমন কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
দিঘার একটি বেসরকারি হোটেলের ম্যানেজার গৌরী মিশ্র জানান, “প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে হোটেলে এসে পুলিশ পর্যটকদের তথ্য সংগ্রহ করছেন।’’ এ দিকে করোনা বিধিনিষেধের জেরে এমনিতেই দিঘা উপকূল পর্যটক শূন্য। সমুদ্র স্নানে নামায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে প্রশাসনের। তা ছাড়া সমুদ্র সৈকতে ঘোরাফেরাতেও নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই পর্যটকরা আর দিঘা বেড়াতে আসছেন না বলে জানাচ্ছেন গৌরীর মতো হোটেল ব্যবসায়ীরা।
দিঘা থানা সূত্রে খবর, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বর্ডার এলাকায় নাকা চেকিং শুরু হয়েছে। ওড়িশা সীমান্ত টপকে এপারে আসা প্রতিটি গাড়ি, মোটর বাইক ধরে ধরে তল্লাশি করা হচ্ছে। কোনও রকম সন্দেহজনক গতিবিধি দেখলেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হোটেলে যে সমস্ত পর্যটক রয়েছেন, তাঁদের দিকেও সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে।