মধ্য প্রদেশের বিয়েবাড়িতে হুলুস্থুল কাণ্ড। প্রতীকী চিত্র।
জীবনে প্রথমবার ঘোড়ায় চড়েছিলেন দলিত যুবক। সেটাও আবার বিয়ের দিন। ভাবেননি তাঁর এই কাজে সারা পরিবারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে উঁচু জাতের ‘ঠাকুর’ সম্প্রদায়ের লোকজন। প্রথমে বিয়ের মণ্ডপ ভাঙচুর, তার পর পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ। ঘটনাস্থল মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলা। অবস্থা এমনই যে স্বয়ং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ছুটতে হল অকুস্থলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার রাতে সাগর জেলার গনিয়ারি গ্রামের এক দলিত যুবক ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন। এই কারণেই দিলীপ অহিরওয়ারের পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে গ্রামের উঁচু জাতের লোকেদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় লোধি ঠাকুর সম্প্রদায়ের প্রবল প্রতিপত্তি। সেখানে এক দলিত যুবকের ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয় কুরুক্ষেত্র কাণ্ড।
বর ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হামলা চালায় একদল যুবক। অভিযোগ, পাত্রপক্ষের পরিবারের লোকেদের লাঠি, রড নিয়ে পেটানো হয়। রক্ষা পাননি ষাটোর্ধ্ব প্রবীণও। এমনকি হুমকি দেওয়া হয়, দলিত পরিবারের লোক হয়ে ঘোড়ার চড়ার মতো সাহস যেন আর না দেখান তাঁরা।
এদিকে এই ঘটনার পরে পুলিশের দ্বারস্থ হয় ওই দলিত পরিবার। তদন্তে এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে সাগর থানার পুলিশ। সোমবার ওই গ্রামে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেল। যদিও এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।