—ফাইল চিত্র।
প্রত্যাশিত ভাবেই বিকাশ দুবে-কাণ্ডে এনকাউন্টারকে সমর্থন করলেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একই সঙ্গে হুমকি দিলেন, ‘‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে দেখিয়ে দেবে, জঙ্গলরাজ কী ভাবে সাফ করতে হয়। যেমন উত্তরপ্রদেশে হয়েছে।’’ রাজ্য়ের শাসক তৃণমূল অবশ্য় দিলীপবাবুর এই হুমকিকে ‘প্রলাপ’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
হায়দরাবাদে ধর্ষণে অভিযুক্তদের পুলিশের গুলি করে মারা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছিল, তখনও তার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন দিলীপবাবু। উত্তরপ্রদেশের বিকাশের মৃত্যু আদৌ এনকাউন্টারে হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এনকাউন্টার যদি হয়েও থাকে, তা হলেও সভ্য় দেশে এমন করা যায় কি না, সে প্রশ্নে গোটা দেশ তোলাপাড়। বিরোধীরা এবং নাগরিকদের একাংশের বক্তব্য, বিনা বিচারে কোনও অপরাধীকে মেরে ফেললেই যদি চলে, তা হলে ভারতীয় সংবিধান, বিচারব্যবস্থা, দণ্ডবিধির দরকার কী? দিলীপবাবু অবশ্য বিকাশের ক্ষেত্রেও উত্তরপ্রদেশ সরকারের ‘বীরত্ব’-এর প্রকাশ দেখছেন। তিনি শনিবার বলেন, ‘‘যারা এখানে এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তাদের কি আদৌ গুলি চালানোর ক্ষমতা আছে? তারা শুধু বিরোধীদের উপর গুলি চালাতে পারে। বিজেপি কী ভাবে দুষ্কৃতীদের দমন করে, বিহার, উত্তরপ্রদেশই তার প্রমাণ। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলেও তার ব্যতিক্রম হবে না।’’ তৃণমূল সরকার সম্পর্কে দিলীপবাবুর অভিমত, ‘‘তারা এ রাজ্য়ের পুলিশকে কাপুরুষ এবং নপুংসকে পরিণত করেছে। গুলি চালানো দূর অস্ত, তাদের একটা এফআইআর লেখার হিম্মৎ নেই। সব অপরাধী তৃণমূলের ঝান্ডার তলায়। কে কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে?’’
দিলীপবাবুর এ হেন বক্তব্যে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার প্রতিক্রিয়া, ‘‘সাত মন তেলও পুড়বে না, রাধাও নাচবে না। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ উত্তরপ্রদেশের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছেন, বিজেপি ক্ষমতায় বসলে কী করতে পারে। সুতরাং, বিজেপি নেতারা যত খুশি এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার খোয়াব দেখুন, মানুষই তা ভেঙে দেবেন।’’