বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার ঝাঁকড়ায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জনসভার অনুমতি দিল না চন্দ্রকোনা টাউন থানা। পুলিশের এই সিদ্ধান্তের পর বিজেপির জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের বক্তব্য, সভার অনুমতি বাতিল করা নিয়ে পুলিশের চিঠি তাঁরা এখনও হাতে পাননি। যদিও দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুলিশ অনুমতি না দিলেও সোমবার সভা হবেই।
সোমবার দুপুরে চন্দ্রকোনার ঝাঁকড়া হাই স্কুলের মাঠে সভা করার কথা শুভেন্দুর। জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সেই সভার ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে চন্দ্রকোনা টাউন থানার একটি চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। চিঠিটি পাঠানো হয়েছে চন্দ্রকোনা টাউনে বিজেপির দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি বিপ্লব মালের ঠিকানায়। তাতে বলা হয়েছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুলের মাঠে সভা করার অনুমতি দিয়ে থাকলেও তা বাতিল করেছে স্কুলের পরিচালন সমিতি। পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, স্কুলের মাঠে সভা করার অনুমতি দেওয়া প্রধান শিক্ষকের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। সেই কারণেই পুলিশের পক্ষ থেকে সভার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
ঘটনাচক্রে, রবিবারই হুগলির রিষড়ায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের মিছিল ঘিরে অশান্তি বেধেছে। তার পরেই শুভেন্দুর সভায় পুলিশের অনুমতি না দেওয়ার চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও এই দুই ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। পুলিশের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি।
বিজেপির তরফে অবশ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুভেন্দুর সভার প্রস্তুতি চলছে। নির্ধারিত স্থান ও সময়েই তা হবে। বিজেপি ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ‘‘নিয়ম মেনে ৪৮ ঘন্টা আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছি। আগামিকাল সভা হবে। তারই প্রস্তুতি চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনও চিঠি পাইনি।’’ ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটও বলেন, ‘‘আগামিকালের সভার প্রস্তুতি প্রায় সারা হয়ে গিয়েছে। সভা হবেই।’’
এ নিয়ে বিজেপিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। দলের নেতা তথা চন্দ্রকোনা পুরসভার কাউন্সিলার সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সম্মাননীয় শুভেন্দু অধিকারী মহাশয় বিভিন্ন জায়গায় সাংবিধানিক কথাবার্তা বলেন। এখন বিষয় হল, প্রশাসনের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও আগামিকাল যদি শুভেন্দু অধিকারী মহাশয় ঝাঁকরা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে রাজনৈতিক জনসভা করেন, তা হলে সেটা সাংবিধানিক না অসাংবিধানিক? নিশ্চিত ভাবে সকল রাজনৈতিক দলের প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে রাজনৈতিক জনসভা করার অধিকার রয়েছে। সকল বিরোধী দলেরও তা রয়েছে। জনগণ এর সঠিক বিচার করবে।’’