প্রতীকী চিত্র।
গুলিবিদ্ধ হলেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশকর্মী। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির সামনে নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট কিয়স্কে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই পুলিশকর্মী এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। হঠাৎ গুলির শব্দে চমকে ওঠেন সবাই। তারপরেই কিয়স্কে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন সশস্ত্র পুলিশের কনস্টেবল দীনেশ কর্মকারকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গোটা মুখ রক্তে ভেসে যাচ্ছিল ওই পুলিশকর্মীর। তড়িঘড়ি তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। গুলি লেগেছে ওই পুলিশকর্মীর গালে। গুলি বার করা হয়েছে। এখন তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল।
তবে এখনও রক্তপাত হচ্ছে। রক্তপাত বন্ধ হলে তাঁকে হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে স্থানান্তরিত করা হবে। কলকাতা পুলিশের কর্তারা গুলি চলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
তবে পুলিশের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, দীনেশ কর্মকার ওই কিয়স্কে কর্তব্যরত ছিলেন। বুধবার রাতে তিনি ডিউটিতে ছিলেন। এ দিন সকালে ডিউটি পরিবর্তনের সময়ে ঘটনাটি ঘটেছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ কর্তাদের একাংশের অনুমান, ডিউটি পরিবর্তনের সময়ে আগ্নেয়াস্ত্রর গুলির ম্যাগাজিন খুলে তবে সেই আগ্নেয়াস্ত্র পরবর্তীতে যে ডিউটিতে যোগ দেবেন তাঁকে দেওয়া নিয়ম। সেই ম্যাগাজিন খোলার সময়ে অসতর্কতাতেই গুলি চলে গিয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে গোটা ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন, অন্য পুলিশকর্মী যাঁরা মোতায়েন ছিলেন তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে। তবে ‘অ্যাক্সিডেন্টাল ফায়ার’ বা অসর্কতায় ঘটনাটি ঘটেছে বলেই ধারণা পুলিশ কর্তাদের।
এ দিন দুপুরে আরও এক পুলিশকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ পুলিশকর্মীর নাম বিপ্লব মণ্ডল। এ দিন সওয়া দুটো নাগাদ তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই পুলিশকর্মী রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানীভবনে কর্মরত। এ দিন দুপুরে ভবানীভবনের অস্ত্রাগারে আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার সময় অসতর্কতায় গুলি ছুটে যায়। আহত হন ওই পুলিশকর্মী।
আরও পড়ুন: বিধি মেনে চললে রাজ্যে লোকাল ট্রেন-মেট্রো চলাচলে আপত্তি নেই মমতার
আরও পড়ুন: তথ্য দিতে পিছিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল