প্রতীকী ছবি।
ব্যারাকপুর: মূক ও বধির তরুণীদের ব্ল্যাকমেল, যৌন নিগ্রহ এবং পর্নোগ্রাফি তৈরির অভিযোগে এক তরুণীকে শনিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, ধৃত তানিয়া চক্রবর্তী নিজেও মূক এবং বধির। এই ঘটনায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি তানিয়ার স্বামী সঞ্জীব চক্রবর্তীকে আগেই পাকড়াও করা হয়েছিল। তখন পালিয়ে যান তানিয়া। এ দিন ব্যারাকপুরের মণিরামপুর থেকে তানিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে ব্যারাকপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও আদালত সূত্রের খবর, এক মূক এবং বধির তরুণী গত ২৯ জানুয়ারি খড়দহ থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, ২০১৫ সালে তিনি খড়দহের একটি ভাড়া বাড়িতে তানিয়াদের সঙ্গেই থাকতেন। সেখানে স্নানঘরে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে তাঁর স্নান দৃশ্য রেকর্ড করেন সঞ্জীব। সেই ছবি দেখিয়ে সঞ্জীব তাঁকে ভয় দেখান এবং শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেন। এমনকি, অন্যান্য পুরুষের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ হতে বাধ্ করা হয়।
তানিয়াও তাঁকে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন বয়সের পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করান। সেই সব দৃশ্যও তানিয়া ক্যামেরাবন্দি করতেন।
অভিযোগকারিণী মূক এবং বধির হওয়ায় প্রথমে পুলিশ তাঁর বক্তব্য পুরোপুরি বুঝতে পারেনি। তাই পুলিশের হস্তক্ষেপে ‘ইন্টারপ্রেটর’ রজনী বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাটি নিয়ে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। রজনীকেও তানিয়া সামাজিক মাধ্যমে বিদ্রুপ করেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর দফতর পর্যন্ত পৌঁছলে নবান্ন থেকে তানিয়াকে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশকে। অভিযোগকারিনীর পক্ষে ওই ইন্টারপ্রেটার বলেন, ‘‘মূক ও বধির তরুণীদের ফাঁসিয়ে টাকা রোজগারের চক্র গড়ে তুলেছিলেন তানিয়া ও সঞ্জীব।’’ পুলিশ আধিকারিকেরা জানান, এই চক্রের পিছনে আরও কেউ আছে কিনা তা খতিয়ে
দেখা হচ্ছে।