Arrest

ক্রেতা সেজে ফাঁদ! রাজ্য পুলিশের এসটিএফের জালে অস্ত্রপাচার চক্রের ‘মূলচক্রী’, উদ্ধার প্রচুর অস্ত্রও

ক্রেতা সেজে ফাঁদ পেতেছিল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। পুলিশের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে রাজ্যের দু’টি জায়গা থেকে গ্রেফতার তিন জন অস্ত্রপাচারকারী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

ক্রেতা সেজে ফাঁদ পেতেছিল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। পুলিশের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে রাজ্যের দু’টি জায়গা থেকে গ্রেফতার তিন জন অস্ত্রপাচারকারী। বহরমপুর থেকে গ্রেফতার দু’জন ও বিধান নগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক জনকে। দু’জায়গাতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পুলিশ সূত্রের দাবি, বিহারের মুঙ্গের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এনে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করতেন ধৃতেরা। বহরমপুর থেকে ধৃত ইয়াকুব শেখ এই চক্রের অন্যতম মূল পাণ্ডা বলে অনুমান তদন্তকারীদের।

Advertisement

এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেআইনি অস্ত্র পাচারের খবর পেয়ে শনিবার রাতে বহরমপুরের মানকারা এলাকায় হানা দেয় এসটিএফ। একটি হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে তারা। ধৃতদের নাম আহাদ আলি মালিক এবং ইয়াকুব। দু’জনেরই বাড়ি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। তল্লাশি চালিয়ে ধৃতদের কাছ থেকে একটি ৯ এমএম সেমি অটোমেটিক পিস্তল, পাঁচটি দেশীয় ওয়ান শটার পিস্তল এবং চার রাউন্ড তাজা কার্তুজ পাওয়া যায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত আহাদ আলি বিহারের মুঙ্গের থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্র কিনে এনেছিলেন। সেই অস্ত্র মুর্শিদাবাদে ইয়াকুবকে হস্তান্তর করেন। ইয়াকুব আন্তঃরাজ্য অস্ত্র পাচারচক্রের কিংপিন। অস্ত্রগুলি ইয়াকুবের হাতে তুলে দিতে মোটরবাইকে চেপে এসেছিলেন আহাদ আলি। সেই মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। অস্ত্র আইনে ধৃতদের বিরুদ্ধে বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

Advertisement

রাজ্যর পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিযানের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা আর একটি দল শনিবার সন্ধ্যায় বিধাননগরের চিংড়িঘাটার খালপোলের কাছে তল্লাশি অভিযান চালায়। এসটিএফের কাছে খবর ছিল, ওই এলাকায় অস্ত্র পাচারের জন্য জমায়েত হবে কয়েক জন। কিছু ক্ষণ অপেক্ষার পর এক সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এসটিএফ আধিকারিকেরা। তাঁর কাছে থাকা ব্যাগ পরীক্ষা করা হয়। ব্যাগ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ পাওয়া যায়। বিশ্বনাথ বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। ওই ব্যক্তির বাড়ি নদিয়ার ধানতলায়। সব মিলিয়ে দু’জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ। উদ্ধার হয়েছে ২৯ রাউন্ড তাজা কার্তুজ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement